ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের ভাইরাল ‘চাকার বিছানা’ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। দেশটির মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা নবাব শেখ প্রায় দেড় বছরের পরিশ্রমে এই খাট-গাড়িটি বানিয়েছিলেন। এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনার সূত্রপাত হয় ঈদের দিন। চাকার বিছানা কেমন চলছে মূলত তা দেখতে বেরিয়েছিলেন নবাব শেখ। বের হবার পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় সেই চলন্ত বিছানাটি।
মুর্শিদাবাদ ডোমকল থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মোটর ভেহিকলস আইন অনুযায়ী কোনও গাড়িকে এভাবে বদলে ফেলে চালানোর অনুমতি যে ছিল না অভিযুক্ত নবাব শেখের।
এদিকে, নবাব শেখ জানান, চাকার বিছানা বানানোর উদ্দেশ্য ছিলো একটাই; নিজের বানানো বিছানায় বসে বসেই চায়ের দোকানে চা খেতে যাওয়া।
মূলত, এমন অদ্ভুত উদ্দেশ্যর পেছনে কারণটাও ছিলো অদ্ভুত। তিনি প্রথমে চাকার বিছানার স্বপ্ন দেখেছেন। আর সেই স্বপ্ন সত্যি করার জন্যই তিনি বিছানায় চার চাকা লাগিয়েছেন। এরপর ইঞ্জিনও ফিট করেছেন।
উল্লেখ্য, চলন্ত বিছানা বানানোর জন্য প্রায় দেড় বছর ধরে দুই লাখ ১৫ হাজার টাকা খরচ করেন। একে একে ইঞ্জিন, স্টিয়ারিং, তেলের ট্যাংক আর স্থানীয় একটা গাড়ি সারানোর কারখানা থেকে একটি গাড়ির খাঁচাও কেনেন তিনি।
বিছানায় ৮শ’ সিসি ইঞ্জিন লাগানো হয়েছে। এছাড়াও মারুতি ওমনি গাড়ির চেসিস ব্যবহার করা হয়েছে। অবশেষে, বাড়ির পাশেই কাঠমিস্ত্রি, গাড়ির মেকানিকদের সহায়তায় গাড়িটি তৈরি করেছিলেন তিনি।