২৬ ও ২৭ মে রাশিয়ায় দুই দিনের সরকারি সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের আমন্ত্রণে তিনি এই সফরে অংশ নিচ্ছেন বলে শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে।
সফরকালে ফিদান মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আলোচনা হবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জ্বালানি, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদার বিষয়ে।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নতুন সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হবে।
ফিদান আরও কয়েকজন শীর্ষ রুশ কর্মকর্তার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের উপপ্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি—যিনি ১৬ মে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন, রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তির পক্ষে তুরস্কের অবস্থান
সফরে হাকান ফিদান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও তুলবেন। তিনি তুরস্কের পক্ষ থেকে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবেন এবং চলমান শান্তি উদ্যোগে ইতিবাচক অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে।
২০২২ সালের শান্তি আলোচনায় এবং সর্বশেষ ১৬ মে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্ক যে ভূমিকা রেখেছে, ফিদান সেই ভূমিকা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করবেন বলেও আশা করা হচ্ছে।
সিরিয়া, গাজা ও দক্ষিণ ককেশাস প্রসঙ্গেও আলোচনা
সফরে ফিদান ও ল্যাভরভের মধ্যে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে মতবিনিময় হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, গাজা এবং দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি।
এই সফরটি তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যকার ধারাবাহিক উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগের অংশ। ফিদান এর আগে গত বছরের ১০–১১ জুন রাশিয়ায় ব্রিকস+ সম্মেলনে অংশ নেন এবং পরে ২৪ অক্টোবর ব্রিকস সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে যোগ দেন।
তুরস্ক-রাশিয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয় চলতি বছরের ১২ এপ্রিল সালে আন্তালিয়া কূটনৈতিক ফোরামের সাইডলাইনে।
এর আগে ল্যাভরভ ফেব্রুয়ারিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য তুরস্ক সফর করেন। এছাড়া তারা গত ২০ ফেব্রুয়ারি জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে সাক্ষাৎ করেন।