টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। যমুনা সেতুর উপর সড়ক দুর্ঘটনা ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে প্রায় ১৭ কিলোমিটার ধীর গতির যানজের সৃষ্টি হয়।
শনিবার ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে যমুনা সেতু থেকে পুংলি পর্যন্ত এ ধীর গতির যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা। এদিকে মহাসড়কে যানজট নিরনে বিভিন্ন পয়েন্ট পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। দুপুর ১ টার পর থেকে জ্যাম ছাড়তে শুরু করে। পরে কিছু কিছু জায়গায় ধীরগতি থাকলেও অনেকটা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।
অপরদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেছে অনেকেই। এছাড়াও গণ পরিবহন সংকটের কারণে অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে পিক-আপ, ট্রাকে এবং বাসের ছাঁদে করে রাজধানীতে যাচ্ছে মানুষ।
এদিকে যমুনা সেতু’র ওপর দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ১৮২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ২শ’ টাকা।
পুলিশ জানায়, গতকাল রাত থেকেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থেকে। এছাড়া গভীর রাতে যমুনা সেতুর উপর সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলতি গাড়ি রেকার দিয়ে সড়িতে দিতে কিছুটা সময় লাগে। এতে টোল আদায় ধীর গতির কারণে যানবাহন চলাচলে বিগ্ন ঘটে। আবার সিরাজগঞ্জের পশ্চিম পান্তে যানবাহন ঠিক মতো পাস না হওয়ার কারণে টাঙ্গাইলের অংশে ধীরগতির যানজটের তৈরি হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মহাসড়কের চাপ আরো বাড়ছে।
যাত্রীরা বলেন, মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থেকে পরিববহন পাচ্ছি না। এছাড়াও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানবাহন নিরসনে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।