গুজরাটের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯৪ জনে। এর আগে বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ পুলিশ জানায়, কমপক্ষে ২৪০ জন নিহত হয়েছেন। যা পরর্বতীতে বেড়ে ২৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বিমানে থাকা ২৪২ যাত্রীর মধ্যে ২৪১ জনই নিহত হয়েছেন। আকস্মিকভাবে বেঁচে গেছেন একজন। বিমানটি চিকিৎসকদের একটি হোস্টলের উপর আছড়ে পড়ে। এতে সেখানে ৫০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই বৃটিশ নাগরিকের নাম রমেশ বিশ্বকুমার। তিনি বিমানের ১১-এ আসনে ছিলেন। রমেশ বলেছেন, এক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল। উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ডে পরই একটা বিকট শব্দ হয় এবং এর পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান রমেশ।
এদিকে গুজরাটের স্বাস্থ্য সচিব ধনঞ্জয় দিভেদি বলেছেন, নিহতদের শনাক্তের জন্য তাদের আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা দিতে বলা হয়েছে। বিমানটি যে ভবনে আছড়ে পড়েছিল সেই ভবনের চারপাশে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লেজের অংশ ভবনের উপর আটকে থাকতে দেখা গেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই বড় আগুনের কুণ্ডলি আকাশের দিকে উড়তে দেখা যায়। বিমানটিতে ২১৭ জন প্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন। এ ছাড়া ১১ জন শিশু ও দু’টি নবজাতক ছিল। ভারতীয় ছিলেন ১৬৯ জন। বৃটিশ নাগরিক ছিলেন ৫৩ জন। সাতজন পর্তুগিজ ও একজন কানাডার নাগরিকও ছিলেন। বিমানটি ছিল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। যা বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বিমান। এর আগে বোয়িংয়ের এই মডেলের বিমান কখনো বিধ্বস্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার লন্ডনের উদ্দেশ্য যাত্রা করা আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিমানটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল। এদিকে আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনাকে ভয়াবহ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, ভারত একটি বৃহৎ এবং শক্তিধর দেশ। আমি নিশ্চিত তারা এই পরিস্থিতি সামলে নেবে। যেকোনো প্রয়োজনে আমরা তাদের পাশে আছি। ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে এটি একটি। ট্রাম্প আরও বলেছেন, বেশির ভাগ যাত্রীই হয়তো মারা গেছেন।