জহিরুল হক, বরগুনা: প্রায় তিন বছর নেতৃত্ব শূন্য থাকার পরে নতুন কমিটি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত দলের নেতাকর্মীরা। এ উচ্ছ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের বরগুনায় আগমনকে ঘিরে। নবগঠিত কমিটির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের পক্ষ থেকে গণজমায়েত করতে নিষেধ করলেও এ নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমবেত হয়েছে তাদের শুভেচ্ছা জানাতে।
২৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেলা নেতৃবৃন্দের বরগুনায় আগমনের সংবাদের জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার কর্মী সমার্থক নবনির্বাচিত নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানাতে জড়ো হন শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে। বিকাল তিনটায় শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে পথসভা শেষ করে বিকাল চারটায় আমতলী চৌরাস্তায় আমতলী ও তালতলী হতে আগত কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত পথসভা করে বরগুনা শহরে শহরে মিজান টাওয়ারের সামনে সন্ধ্যা ছয়টা ৩০ মিনিটে পথসভা করেন নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।
বক্তৃতায় বরগুনা জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফজলুল হক মাস্টার বলেন, আমাদের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। বরগুনা-২ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হোক না কেন সকলে মিলে ধানের শীষের প্রার্থীকে নির্বাচিত করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে উপহার দেব।
সদস্য সচিব হুমায়ুন হাসান শাহীন তার বক্তব্যে বলেন বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি বর্তমান দেশের পরিচিতি বিচার বিশ্লেষণ করে যোগ্যতা, বিশ্বস্ততা ও দলের প্রতি আনুগত্যের ভিত্তিতে বরগুনা জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে। তাই দলের তৃণমূল নেতাকর্মী ও জনগণের আমাদের কাছে অনেক প্রত্যাশা রয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নবগঠিত কমিটির কাছে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। আগামী নির্বাচনে বরগুনার দুটি আসন আমরা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চাই। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আমরা এই অঙ্গীকার করে এসেছি। তাই সুবিধাবাদী কেউ যাতে দলের নামে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও সালিশ বাণিজ্য করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে না পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অন্যায় কারীগর দলের কেউ নয়। মুষ্টিমেয় দু চার জনের অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না। তাদেরকে কঠোর হস্ত দমন করা হবে।
সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, বরগুনায় জাতীয়তাবাদী দল একটি শ্রেষ্ঠ দল এবং জনগণের দল হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা দুর্নীতিবাজ মুক্ত সন্ত্রাস মুক্ত চাঁদাবাজ মুক্ত একটি দল উপহার দেয়ার চেষ্টা করব। আমরা পাঁচ আগস্টের পূর্ববর্তী আন্দোলন সংগ্রাম এবং পাঁচ আগস্টের পরবর্তী কার কি আমলনামা আছে তা আমলে নিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করব। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যখন আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন তখন আমরা এই জেলাকে সকল অপরাধমুক্ত করবো। তিনি আরো বলেন বিএনপি তিনবার ক্ষমতায় গিয়েছে বিএনপির দ্বারা ইসলামের কোন ক্ষতি হয়নি। এখন অনেকে বলে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে বেহেস্ত কনফার্ম। আবার কেউ বলে হাত পাখায় ভোট দিলে ভোট পাবে আল্লাহর নবী। এই কথা বলে তারা জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। তারা নিজেরা বেহেস্তে যাবে কিনা সেই খবর নাই কিন্তু বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করছে। যাই হোক এবার আমাদের এমপি লাগবে। আমাদের মধ্যে দলীয় কোন বিভেদ নেই আমরা সবাই মিলে এবারে ধানের শীষের এমপি বানাবো ইনশাআল্লাহ।