হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুরে প্রতিবেশীর বাড়ির পাশ থেকে যুবক রফিকুল ইসলাম (৩৫) এর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে প্রতিপক্ষের ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন রফিকুলের মা ফাতেমা বেগম।
মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানা পুলিশের ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, রফিকুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজহারে বাদি ফাতেমা অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৭ টার দিকে আসামিদের কয়েকজন এবং অন্যান্যরা তার বসত বাড়িতে ও আমার পুত্রবধূ লাভলী বেগমের বসত বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ফাতেমা বাদি হয়ে মোট ৪৮ জন ও অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনের নামে কালিয়া থানায় মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা তাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। এই মামলার আসামিরা তার ছেলেকে খুন করার হুমকিও দেয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় ফাতেমার ছেলে রফিকুল জানিয়েছিল সে রাতে বাড়িতে ফিরবে। কিন্তু রাতে রফিকুল বাড়িতে না ফেরায় এবং তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বাড়ির লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ২৯ এপ্রিল সকালে কাঞ্চনপুর গ্রামে প্রতিপক্ষ রিকাইলের বাড়ির পাশ থেকে রফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মরদেহে কপালের ডান পাশে রক্তাক্ত ও থ্যাতলানো দেখা যায়। তাছাড়া শরীরে কাঁদা লাগানো ও বিভিন্ন স্থানে জখম ছিল। এসময় রফিকুলের টিভিএস মোটরসাইকেলটি রিকাইল শেখের বসত বাড়ীর দক্ষিণ পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর ফেলানো অবস্থায় দেখা যায়।
এজহারে তিনি আরো লিখেছেন, রফিকুলের দাফনের পর ২৯ তারিখ রাতে একই গ্রামের পারুল বেগম বাদি ফাতেমাদের বাড়িতে এসে জানায়, ২৮ তারিখ রাতে পারুলের স্বামীর চাচাতো ভাই ইনামুল শেখ এর বাড়ীর দিক থেকে আওয়াজ শুনে হালকা বৃষ্টির মধ্যে পায়ে হেটে সেদিকে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় রিকাইলের বসত বাড়ির দক্ষিণ পার্শ্বে পাকা রাস্তার কাছে গেলে হাতে থাকা টর্চের আলোয় তিনি দেখতে পান যে, উল্লেখিত আসামীরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন আসামি দেশীয় অস্ত্র সহকারে ফাতেমার ছেলে রফিকুলের মোটরসাইকেল বেরিকেট দিয়া থামায়। এরপর তারা রফিকুলকে মারপিট করে রিকাইলের বাড়ির দিকে নিয়ে যায়। তখন পারুল আসামিদের ভয়ে বাড়িতে চলে আসে।