আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া এক অনন্য দেশপ্রেমিক, যিনি দেশে ও বিদেশে বহুমুখী মানবিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সক্রিয় সদস্য হিসেবে তিনি জেলা বিএনপি ও এর ১৪টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব প্রদান করেছেন।
কোভিড-১৯ মহামারিতে মানবিক নেতৃত্ব :
২০২০ সালের বৈশ্বিক করোনা সংকটের সময়, যখন সারা বিশ্ব অনিশ্চয়তায় নিমজ্জিত, তখন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা সহায়তা, খাদ্যসামগ্রী এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহে নেতৃত্ব দেন—শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেই নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও।
তার মানবিক নেতৃত্বের একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয় যখন নাইজেরিয়ার ওইও স্টেটের তৎকালীন গভর্নর সেনেটর আবিওলা আজিমোবি করোনায় আক্রান্ত হলে নাইজেরিয়া সরকার সরাসরি তার সহায়তা প্রার্থনা করে। তারা বাংলাদেশে তৈরি করোনা প্রতিরোধী একটি বিশেষ ইনজেকশন সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানায় এবং স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে এই সাহায্য যেন আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়ার মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সহযোগিতায়, বিশ্বব্যাপী আকাশপথ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও, নাইজেরিয়া থেকে একটি বিশেষ বিমান বাংলাদেশে এসে তার কাছ থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে। এ সময় সীমিত সংখ্যক পিপিই, মাস্ক ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীও সরবরাহ করা হয়। এ ঘটনাটি কেবল তার ব্যক্তিগত যোগ্যতার নয়, বরং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন বাংলাদেশির মানবিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি—যা পুরো জাতির জন্যই এক গর্বের মুহূর্ত।
বৈশ্বিক পানি সুরক্ষায় নেতৃত্ব :
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান পানিসংকট নিয়ে আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া বারবার আন্তর্জাতিক ফোরামে সরব হয়েছেন। তার বিশ্বাস—বাংলাদেশ, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মিঠা পানির ভাণ্ডারসমৃদ্ধ দেশ, হতে পারে বৈশ্বিক ‘ব্লু গোল্ড ইকোনমি’র কেন্দ্রবিন্দু।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তিনি বোতলজাত পানি রপ্তানি, পানি কূটনীতি এবং জলবায়ু সহনশীল পানি অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগের জন্য নীতি-প্রস্তাবনা দিয়েছেন। তার এই দৃষ্টিভঙ্গি বাংলাদেশকে শুধু সুবিধাভোগী নয়, বরং বৈশ্বিক পানি সমস্যার সমাধানদাতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
(সূত্র: মানবজমিন, দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক সরোদ, দি ট্রাইবুনাল, আরটিভি অনলাইন, তরঙ্গ নিউজ, দৈনিক জনকণ্ঠ, ওয়ান বাংলা নিউজ)
বায়ুদূষণ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগ :
পানি সংকট মোকাবিলার পাশাপাশি তিনি বায়ুদূষণ রোধেও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। জীবাশ্ম জ্বালানি নীতির স্থায়িত্ব, নগরাঞ্চলে সবুজায়ন এবং বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারের পক্ষে আন্তর্জাতিক গবেষক ও সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
রাজনৈতিক নির্যাতন ও অদম্য প্রত্যয় :
তার কাজের প্রভাব ও জনপ্রিয়তা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তাকে ও তার ব্যক্তিগত সহকারী আজাদকে গুম করা হয়। দলীয় প্রতিবাদ ও সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ লেখনীর চাপে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার। তবে এই সময়ের নির্যাতনের ফলে তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন এবং পরে তার হৃদপিণ্ডের দুটি ধমনীতে রিং প্রতিস্থাপন করতে হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ও বিনিয়োগ ভিশন :
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। এই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে কাজ করছেন।
তিনি ভূঁইয়া গ্লোবাল ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, যার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনা করেন। তার ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পরিধি গার্মেন্টস, রিয়েল এস্টেট, আইটি এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানিসহ বহুবিধ খাতে বিস্তৃত। তার প্রতিষ্ঠান “গেলেন্স” বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারী ও সরকারকে সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান ও খাতভিত্তিক উন্নয়নে কাজ করে।
তিনি বিশ্বাস করেন—বাংলাদেশের পানিসমস্যা ও জনসংখ্যা সমস্যাকে সঠিক পরিকল্পনায় শক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব, যা দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারে। একইসঙ্গে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের অধিকার রক্ষায়ও সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
বাংলাদেশের জন্য এক জাতীয় সম্পদ :
আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া সেই ধরনের প্রগতিশীল, আন্তর্জাতিকভাবে সংযুক্ত নেতৃত্বের প্রতীক, যারা মানবিক মূল্যবোধ ও বৈশ্বিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হলে শুধু কসবা–আখাউড়া বা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনামই বাড়বে না, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠবে।
আজকের বিশ্বে রাজনীতি কেবল দেশের সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব, মানবিক কর্মকাণ্ড ও বৈশ্বিক অংশগ্রহণ এখন রাজনীতিকের নতুন পরিচয়পত্র। সেই বিচারে আলহাজ্ব কবীর আহমেদ ভূঁইয়া এক উজ্জ্বল মডেল, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও বিএনপি উভয়ের সম্ভাবনা বহুগুণে প্রসারিত হতে পারে।