পাকিস্তান ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এছাড়াও এফ-সিক্সটিনসহ দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে দেশটির গণমাধ্যম। হামলার আশঙ্কায় ১৫ শহরে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে।
তবে হামলার দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। দেশটির পক্ষে জানানো হয়, সীমান্তে ভারতের ৪০ থেকে ৫০ সেনা নিহত হয়েছে।
সিএনএন, এনডিটিভিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের দিকে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট এগুলোকে বাধা দিয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোটও হামলার মুখোমুখি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
প্রতিবেদন বলছে, ভারত-পাকিস্তানের হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই। গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি পাকিস্তানের লাহোরে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবিও করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবিও করেছে দেশটি।
পাকিস্তান বলছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য ভারত এসব ড্রোন মোতায়েন করেছিল।
পাকিস্তানের পাল্টা হামলা শুরুর পর রাতে শ্রীনগরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ব্লাকআউট করে দেওয়া হয়। চন্ডীগড় শহরের প্রশাসন বলছে, বিমান হামলার সংকেত দিতে সাইরেন বাজানো হয় এবং দ্রুত ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয়েছে।
জম্মুরই আরেক শহর রাজৌরিতে প্রশাসন ব্ল্যাক আউট করে দিতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে।
এর আগে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।