জিহাদ রানা, বরিশাল ব্যুরো চীফ: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা শুক্রবার বিকেলে বরিশালে উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে। হাজার হাজার ভক্তের অংশগ্রহণে নগরীর বিভিন্ন মন্দির থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য রথযাত্রার শোভাযাত্রা।
প্রধান অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বরিশালে ইসকনের অয়োজনে শ্রী শ্রী রাধা শ্যামসুন্দর মন্দিরে। রথযাত্রা উৎসবে উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক রাখাল চন্দ্র দে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের বরিশাল মহানগরের আহ্বায়ক এলবার্ট রিপন বল্লভ, সদস্য সচিব লিমন সাহা কানু, অধ্যক্ষ তপস্বী দাস ব্রক্ষ্মচারীসহ অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান উদ্বোধকরা বলেন, "রথযাত্রা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও ভক্তির প্রকাশ। আমরা চাই সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব সম্পন্ন হোক।"এরপর নগরীর সদর রোডস্থ জগন্নাথ মন্দির, হাটখোলা হরি মন্দির ও অন্যান্য মন্দিরগুলোতে, যেখানে সকাল থেকেই ভক্তদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সকাল থেকে রথ সাজানো, পূজা, আরতি ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দিনব্যাপী উৎসব। দুপুর গড়াতেই রথ টানার জন্য হাজারো মানুষ জড়ো হন।
বিশাল কাঠের রথে জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাকে স্থাপন করে শহরের বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করা হয়। ভক্তরা ‘জয় জগন্নাথ’ ধ্বনি দিতে দিতে রথ টানেন। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বসে হিন্দু ধর্মীয় সামগ্রী, মিষ্টান্ন ও খেলনার অস্থায়ী মেলা, যা সব বয়সী মানুষের ভিড়ে মুখরিত ছিল।
রথযাত্রায় আসা ভক্তবৃন্দরা বলেন, রথ টানা আমাদের জন্য শুধু উৎসব নয়, এটা আমাদের ভক্তি আর আত্মিক শান্তির বিষয়। এই দিনে রথ ছুঁতে পারাটাই বড় সৌভাগ্য মনে করি।”
উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক দল সার্বক্ষণিক নজরদারি করে। আগামী এক সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হবে উল্টো রথ বা বহুডা যাত্রা, যেখানে দেবতারা আবার নিজ মন্দিরে ফিরে যাবেন।