মাসুদ রানা, খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আমন ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ক্ষতিকর পোকামাকড় দমন করতে ‘আলোক ফাঁদ’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আলোকঝাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়।
অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইয়াসমিন আক্তার সভাপতিত্ব করেন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সরকার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. তমিজুল ইসলাম। এ সময় বিভিন্ন এলাকার কৃষক-কৃষাণীরাও অংশ নেন।
কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, “আমন মৌসুমে রোগবালাই ও ক্ষতিকর পোকামাকড় কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সঠিক সময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে উৎপাদন কমে যায়। আলোক ফাঁদের মাধ্যমে এসব পোকা দমন করা গেলে কীটনাশকের ব্যবহার কমানো সম্ভব, যা কৃষক ও পরিবেশ উভয়ের জন্যই কল্যাণকর।”
তিনি আরও জানান, রাতের আঁধারে ক্ষতিকর পতঙ্গ আলোতে আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে আটকা পড়ে। এর ফলে মাঠপর্যায়ে পোকামাকড়ের উপস্থিতি সহজে পর্যবেক্ষণ ও দমন করা যায়। এটি একটি সাশ্রয়ী ও কার্যকর সমাধান।
প্রধান অতিথি ইউএনও মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, “কৃষি উন্নয়নে সরকার নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে আলোক ফাঁদ একটি যুগোপযোগী ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। কৃষকরা সঠিকভাবে এটি ব্যবহার করলে উৎপাদন খরচ কমবে এবং আমন ফসলের ফলন বাড়বে। মাঠপর্যায়ে সচেতনতা ও কৃষকের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ সফল করা সম্ভব নয়।”
উপস্থিত কৃষকরা জানান, আলোক ফাঁদের কার্যকারিতা সরাসরি দেখে তারা উপকৃত হয়েছেন। অনেকেই জানান, কীটনাশক কম ব্যবহার করলে খরচ কমবে এবং বিষমুক্ত ধান উৎপাদনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষা সম্ভব হবে।
আয়োজক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকরা আরও সচেতন হবেন এবং মাঠপর্যায়ে আলোক ফাঁদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।