ঢাকার জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার ও নগর পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন প্রজাতির ১৬০০ বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যে ৫ লক্ষ বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে তার অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর দিয়াবাড়িতে এসব বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
গ্রিন সেভার্স এর আয়োজনে এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ইডকল), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং বন অধিদপ্তর এর সহোযোগিতায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী আহসান রনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন খালের মাধ্যমে চ্যানেলিং করে ঢাকার পানি বের করে স্থায়ীভাবে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বায়ু দূষণ, পরিবেশ সুরক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার এসটিএস গুলো আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং এর মাধ্যমে একটি ইনক্লুসিভ শহর গড়তে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে হিজরা জনগোষ্ঠীর ব্যবসার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে।
প্রশাসক জানান, যারা ব্যক্তিগতভাবে বৃক্ষরোপণ করেন তাদের জন্য ‘গাছের ডাক্তার’ নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকায় একটি ট্রি মিউজিয়াম গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে এবং নগরীর আরবান বায়োডাইভারসিটি হটস্পটগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্বাগত বক্তব্যে বন অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদা রোকসানা সুলতানা বলেন, আমতলি থেকে গুলশান ১ পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ ও মাটির সংরক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি বাউনিয়া খালের চারপাশেও বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। ঢাকাকে সবুজে ঢেকে দেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের এসব কার্যক্রম চলমান থাকবে।
অনুষ্ঠানে বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক হুসাইন মোহাম্মদ নিশাদ, উপপ্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মঈনুদ্দিন খান, ইডকলের চিফ রিস্ক অফিসার মোহাম্মদ জাভেদ ইকবাল এবং ইডকলের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রায়হান উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আজকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে মোট ১,৬০০টি গাছ রোপণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে জারুল, সোনালু, করবী, চন্দ্রপ্রভা ও টগর। আজকের অনুষ্ঠানে সবুজ ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।