শহিদ জয়, যশোর: যশোরে রীতিমতো নাটকের জন্ম দিয়েছেন এক নারী ও তাঁর দুই স্বামী। কোতোয়ালি থানা চত্বরে তাঁদের প্রকাশ্য টানাহেঁচড়ার ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলবার দুপুরে সেখানে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।
পুলিশ জানায়, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারীর সঙ্গে সীমা অধিকারীর ৩৬ বছরের সংসার। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তবে কিছুদিন আগে সীমা ফরিদপুর সদরের পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে বিকাশের ঘর ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করে তিনি ভারতে চলে যান। সোমবার রাতে দম্পতি যশোরের একটি হোটেলে ওঠেন। খবর পেয়ে বিকাশ সেখানে হাজির হলে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়।
থানায় উপস্থিত হয়ে সীমা অভিযোগ করেন, স্বামী বিকাশের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি সংসার ছেড়েছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আর বিকাশের সঙ্গে সংসার করবেন না। অন্যদিকে বিকাশের দাবি, সীমার পরকীয়ার কারণেই সংসার ভেঙেছে। তিনি অভিযোগ করেন, সীমা পালানোর সময় টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তাই যেকোনো ভাবে স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি।
দ্বিতীয় স্বামী পলাশ জানান, সীমার সঙ্গে তাঁর তিন বছরের সম্পর্ক। তাঁরা দুজনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এবং এখন একসঙ্গে থাকতে চান।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তাঁরা থানা হেফাজতে আছেন। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে।’