চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ৩ দফা উদ্বোধনের তারিখ পরিবর্তনের পর অবশেষে চিলমারীকে বাদ রেখেই উদ্বোধন হচ্ছে হরিপুর-চিলমারী ১৪৯০ মিটার মাওলানা ভাসানী তিস্তা সেতুর। বুধবার সেতুর উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ উপলক্ষে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও সেতুর সংযোগ সড়ক চিলমারী অংশের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। ফলে সেতুর উদ্বোধন হলেও তাৎক্ষণিক সুফল ভোগ করতে পারছেন না চিলমারী অঞ্চলের মানুষ।
জানা গেছে, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাধীন পাঁচপীর বাজার থেকে চিলমারী উপজেলা হেডকোয়ার্টার সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প(৩য় সংশোধিত) এর আওতায় সড়ক উন্নয়নকরণ কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়। এ লক্ষে চিলমারী উপজেলা হেডকোয়ার্টার মাটিকাটারমোড় হতে পাঁচপীর জিসি সড়ক(চেইঃ ১২২০মি.-৫২৩০ মি.৪০১০মি.) উন্নয়নকরণ এবং চিলমারী উপজেলা হেডকোয়ার্টার হতে পাঁচপীর জিসি সড়ক(চেইঃ ০০মি.-১২২০মি. ১২২০মি.) মিলে মোট ৫.২৩০মি.এলাকা উন্নয়নের ঠিকাচুক্তি সম্পাদিত হয় ২০২৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে। যার চুক্তি মূল্য ছিল ১০ কোটি ৩৩ লক্ষ ২ হাজার ৮৩২ টাকা।
কাজ নেয়ার সময় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অতিমাত্রায় নিম্নদর দাখিল করে নাটোর এলাকার মীর হাবিবুল আলম এর নামের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজটি বাগিয়ে নেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রি জাকির হোসেনের এপিএস রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। যেটি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে শুরু হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে শেষ হওয়ার কথা ছিল। যথাসময়ে কাজ শেষ না করায় দুই দফায় সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত করা হয়। সেতু উদ্বোধনের দুইদিন আগে অর্থাৎ সোমবার পর্যন্ত চিলমারী অংশের ৫,২৩০ মিটারের মধ্যে মাত্র ২,১৫০ মিটার রাস্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। বুধবার সেতুর উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সরেজমিনে চিলমারী হেডকোয়ার্টার হতে দুইথানার মোড় এলাকা ঘুরে পর্যন্ত দেখা যায়, উপজেলা মাটিকাটা মোড় থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত পিসিং এর কাজ করা হয়েছে। কলেজ মোড় থেকে মুদাফৎথানা সরকারপাড়া পর্যন্ত পুরাতন রাস্তার পিস উল্টে দিয়ে রাখা হয়েছে যা যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। সরকারপাড়া মোড় থেকে অপু হাজির ভাটা পর্যন্ত পাকা করা হলেও পরবর্তী অংশে রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি।
আশরাফ আলী,মাজেদুল ইসলাম,শাহিন মাহমুদসহ অনেকে বলেন, সেতুটি মানুষ চলাচলের জন্যই নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ চিলমারী অংশের রাস্তার কাজ না হতেই সেতুর উদ্বোধন, বিষয়টি আমাদের বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী(চঃদাঃ) মো.জুলফিকার আলী জানান, আনস্থা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করা হবে, সেতুর সাথে সংযোগ সড়কের কোন সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, চিলমারী অংশের ৫ হাজার ২৩০ মিটার রাস্তার মধ্যে ২ হাজার ১৫০ মিটার রাস্তার কার্পেটিং শেষ হয়েছে। ২ হাজার ৬৫ মিটার রাস্তা কার্পেটিংয়ের জন্য প্রস্তত ও বাকি ৭০০ মিটার রাস্তার দুটি স্থানে জমির সমস্যা রয়েছে। সমস্যা সমাধান হলে বাকি রাস্তার কাজ করা হবে।