রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, 'আ.লীগ সরকার গত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে আপনাদের নির্যাতন করেছে। আমরা এনসিপিকে (জাতীয় নাগরিক পার্টি) সাথে নিয়ে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়বো।" সোমবার (২৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা লিচুবাগান চত্বরে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
এর আগে এনসিপি'র কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা বক্তব্যে বলেন, "এনসিপির কার্যক্রম গতিশীল করতে সারাদেশে পথসভা করা হচ্ছে। এনসিপির কার্যক্রম যাতে তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছায় সে কাজ চলছে।"
তিনি আরো বলেন, "নতুন একটা বাংলাদেশ আপনাদের সাথে নিয়ে করবো। জুলাই আন্দোলনে নারীরা সামনে থেকে লিড দিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশে এভাবে সামনে থেকে কাজ করতে হবে। সেটা সম্মিলিতভাবে করা প্রয়োজন।"
রাঙ্গুনিয়ায় সাংগঠনিক সফরে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন এনসিপি'র কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, চট্রগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম জেলা ও অঞ্চল এর তত্ত্বাবধায়ক জোবায়েরুল হাসান আরিফ, চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম জেলার সংগঠক মিসমা, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক ইমন সৈয়দ, রাঙ্গুনিয়া এনসিপির সংগঠক আব্দুল করিম টিপু, আসিফ উদ্দিন চৌধুরী, আব্দুল কাইয়ুম, আশরাফুল গনি চৌধুরী, দিদারুল আলম, ইকবাল মাহামুদ, নুরুল আলম আশিক, আসলাম হোসেন আসাদ রাশেদ হাসান চৌধুরী, ছাত্র প্রতিনিধি আদনান রাফি, সরোয়ার নূর, ইমতিয়াজ আরমান, সাহিল আজমাইন প্রমুখ।
এরআগে মিনিট্রাকে করে দুপুর ২টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও ডা. তাসনিম জারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক সফরে রাঙ্গুনিয়া আসেন। এসময় এনসিপি নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ট্রাকে বক্তব্য দেয়ার একপর্যায়ে জুলাই আন্দোলনের নানা স্লোগান, এনসিপি'র স্লোগান ধরেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। পরে ট্রাক থেকে নেমে বিভিন্ন দোকানে পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন তিনি। আসা ও যাওয়ার পথে উৎসুক জনতা তাদের দেখতে সড়কের দুই পাশে ভিড় করতে দেখা যায়। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে জবাব দেন তারা। পথসভাকালে অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায় তাদের। প্রায় দেড়ঘন্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে পথসভা শেষ করে রাঙ্গুনিয়া থেকে পাশের রাউজান উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।