গাজীপুর প্রতিনিধি : টঙ্গীতে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরা স্যাটার্ন টেক্সটাইল লিমিটেড নামক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এতে ওই এলাকায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝুট ইস্যুতে হওয়া ঘটনায় জড়িত গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনির অনুসারী গাসিক ৫০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কাজীর সঙ্গে গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মোল্লার অনুসারী আল মামুন হাওলাদার, কাজী হারুন ও ছাত্রদলের নেতা ফজলে রাব্বিসহ দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের সময় পথচারীসহ কয়েকজন আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী আল মামুন হাওলাদার বলেন, আমরা কোম্পানি থেকে ৩০ তারিখ মাল (জুট) নামাবো। এই তথ্য পেয়ে হুমায়ূন কাজী কোম্পানিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
হুমায়ুন কাজী বলেন, ‘স্যাটার্ন কারখানার সঙ্গে আমার প্রতিষ্ঠান নূর এন্টারপ্রাইজের চুক্তি হয়েছে। গত ১০ আগষ্ট থেকে কারখানাটির ওয়েস্টেজ আমরা নিচ্ছি। আজ সকালে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আমাকে ডাকলে আমি কোম্পানিতে যাই। এই খবর পেয়ে তাদের লোকজনের সাথে আমাদের লোকজনের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটে। এবং কারখানার গেটের সামনে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণের এটনা ঘটায়।
এব্যাপারে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হালিম মােল্লার মুঠোফোন ও হোয়াটঅ্যাপে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহমেদ সুমন বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নেই। জানার চেষ্টা করছি। জেনে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ পেলে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।