অতুল পাল, বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধিত এক হাজার জেলেদের মধ্যে সরকারি মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চাল নিতে প্রত্যেক জেলের থেকে ২০০ করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ২৬ জুন বৃহষ্পতিবার ওই চাল বিতরণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মো. মামুন নামের এক ব্যাক্তি জেলেদের হাতে স্লিপ দিয়ে ২০০ করে টাকা নিচ্ছেন শুক্রবার (২৭ জুন) এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি এখন বাউফলে টক অব দি বাউফলে পরিণত হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা হয়, ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মামুন চেয়ার-টেবিল পেতে বসে আছেন। টেবিলের ওপর জেলেদের নামের স্লিপ রাখা। চারপাশে ভির করে আছেন জেলেরা। প্রত্যকে জেলে ২০০ করে টাকা দিয়ে ওই উদ্যোক্তার কাছ থেকে নামের স্লিপ নিচ্ছেন। জেলেদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা মামুন তার ব্যাগে রাখছেন। প্রকাশ্য ঘুষ নেওয়ার এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা- সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উদ্যোক্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ভিডিও ভাইরালের পর সে গা ঢাকা দিয়েছে।
জেলেরা জানান, সরকারি গুদাম থেকে চাল আনতে পরিবহণ খরচ বাবদ এই টাকা নিয়েছেন। টাকা না দিলে চাল দেওয়া হবে না। তাই আমরা টাকা দিয়ে চাল নিয়েছি।
ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করেছি। প্রত্যকে জেলেকে নিয়ম অনুযায়ী ৮০ কেজি চাল দিয়েছি। তবে জেলেদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি আমি কিছু জানি না এবং এর দায়ও আমার না।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকতা ফেরদৌস মো. হানিফ জানান, এমন কোন অভিযোগ তাদের কাছে কেউ করেনি। তাদের উপস্থিতিতে সঠিকভাবেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। বাহিরে কিছু ঘটলে আমাদের কিছু করার নেই।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।