কাহারাল(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: কাহারোলে সফল নারী ববিতার প্রতি মাসে আয় ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার তারগাও ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামের হার না মানা এক অদম্য নারী ববিতা রানী রায়। প্রতিটি নারীর সফলতার পিছনে থাকেন তিনি নিজেই। তার ইচ্ছা শক্তি মোনোবল তাকে নিয়ে যেতে পারে অনেকদুর। নিজের ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আজকের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন অনেকদুর। একজন সফল গৃহিনীর পরিচয়ের পাশাপাশি একজন সফল উদ্যাক্তা হিসেবেও গড়ে তুলেছেন নিজেদেরকে। এই সফল নারীর নাম ববিতা রানী রায়। সংসার জীবন মানে যুদ্ধক্ষেত্রে আর উদ্যাক্তামানেই যোদ্ধা। সাহস আর কর্মদক্ষতা না থাকলে যুদ্ধ ক্ষেত্রে যেন মূল্যহীন, তেমনি ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হলো অর্থ। অর্থ না থাকলে স্বপ যেন বৃথা হয়ে যায়। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে নারীদের জন্য একটি বড় চ্যালঞ্জ। এই চ্যালঞ্জকে মোকাবেলা করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়াজন হয়। একদিকে অর্থ সংকটে অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ পাওয়া অনেক কঠিন। কি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ব্যবসা করতে হলে পুরুষের চেয়ে নারীদের সাহসী হতপ হবে মনপ করেন ববিতা রানী রায়।
ববিতা রানী রায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অর্থায়নই নারীদের ব্যবসার বড় বঁাধা। তিনি বিগত ৪ বছর পূর্বে শুরু করেন একটি রিং দিয়ে ও হাফ কেজি কেচো দিয়ে শুরু করেন এই কেচো সার উৎপাদন। ১টি রিং থেকে বর্তমানে ১০০টি রিংয়ে চলছে তার কেচো কম্পোষ্ট সার উৎপাদন। বিভিন্ন খামার থেকে গবর সার সংগ্রহ করে এনে তা রিংয়ে ভর্তি করে কেচো দিয়ে তৈরী করা হয় ভার্মি কম্পোষ্ট সার । এই সারে উৎপাদন করতে গিয়ে খরচ হয় প্রায় ১৫ হাজার টাকার মতো। মাসে ৩ টন সার উৎপাদন করা হয়ে থাকে। ববিতা রানী রায় নিজের স্বামী, ছেলে ও বৌমা এই ৪ জন মিলে এই সার উৎপাদন করেছেন এখন। সব খরচ বাদ দিয়ে মাসে তাদের ৩০ হাজার টাকার মতো লাভ হয়ে থাকে।
জানা যায়, দিনাজপুর অঞ্চল টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের অত্র উপজেলা ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছর তাকে সহযোগিতা করে কৃষি অধিদপ্তর।
ববিতা রানী রায় জানান, প্রথম যখন শুরু করি মানুষ আমাকে অনেক কিছু বলেছিল কেচো নাড়তেছি মানুষ ঘৃনা করছিল। আমার সফলতা দেখে এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি পরিবার ঝুকেছেন এই কেচো কম্পোষ্ট সার তৈরীর দিকে। আমার এখান থেকে নিজ উপজেলা ছাড়া পাশ্ববর্তি উপজেলায় এই সার নিয়ে যাচ্ছে কৃষকেরা। উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক ললিত চদ্র রায়ের ভূট্রা ক্ষেতে এই সার ব্যবহার করে ফলন ভালো পেয়েছি। অন্য সারের তুলনায় এই সারের গুনগত মান অনেক ভাল।
ববিতা রানী রায় আরো জানান, কৃষি বিভাগ থেকপ আরো সার্বিক সহযোগিতা পেলে আমার এই প্রতিষ্ঠান অনেক দূরে এগিয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রপ জানা যায়, উপজেলা কৃষি বিভাগে ববিতা রানী রায়কে সকল প্রকার সহযোগিতা করে আসছেন এবং কৃষকদের নিকট এই সার বিক্রির জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন।