হাসান মাহমুদ, হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথায় টুপি না পড়ায় আল সাকিন নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মোকসেদ আলী নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন আছেন। গতকাল শনিবার ভবানীপুর ছেফাতিয়া কামিল মাদ্রাসায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
মারধরের শিকার আল সাকিন উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। এছাড়া সে ভবানীপুর ছেফাতিয়া কামিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মোকসেদ আলী ভবানীপুর ছেফাতিয়া কামিল মাদ্রাসার ইংরেজী শিক্ষক।
জানা গেছে, শনিবার মাদ্রাসা চলাকালীন বই আনতে লাইব্রেরী যায় শিক্ষার্থী আল সাকিন। তবে ভুলবশত মাথায় টুপি পড়তে ভুলে যায় সাকিন। এ সময় তা দেখে চড়াও হয়ে প্রথমে গালিগালাজ ও পরে তাকে মারধর করেন শিক্ষক মোকসেদ আলী। বাসায় গিয়ে ব্যাথায় কান্নাকাটি করলে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন।
এ বিষয়ে ক্ষুদে শিক্ষার্থী আল সাকিন বলেন, গরম লাগতেছিলো, তাই টুপি খুলে পকেটে রাখি। মাথায় টুপি ছিলো না বলে স্যার আমাকে প্রথমে গালাগালি করেন, এরপর মারধর করেন। প্রচন্ড ব্যাথা করছে।
এ বিষয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি অন্যান্য শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানতে পারি ওই শিক্ষকের নিকট যারা প্রাইভেট পড়েন না তাদেরকে তিনি সামান্য ভুলেই মারধর করেন। বিষয়টি ওই মাদ্রাসার প্রধানকে অবগত করা হয়েছে, তিনি এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মোকসেদ আলী বলেন, টুপি পড়ে আসে নাই, তাই শুধু একটা চড় থাপ্পড় দিয়েছি। আপনি নিজে টুপি পড়েন না, শিক্ষার্থী ভুলবশত পড়ে নাই তাই মারধরকরবেন এমন কোন নিয়ম আছে? এই প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দেননি।
এ বিষয় ভবানীপুর ছেফাতিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ফেরদৌস হোসেন বলেন, টুপি পড়ে না আসায় শিক্ষার্থীকে মারধর করার বিষয়টি শিক্ষক মোকসেদ স্বীকার করেছেন। এ নিয়ে তাকে শোকজ করা হবে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম মিঞা বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।