যমুনা সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ও একাধিক গাড়ি বিকল এবং অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে ১৭ কিলোমিটার ধীরগতি তৈরি হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকাল থেকে যমুনা সেতু থেকে পুংলি পর্যন্ত এ ধীরগতি তৈরি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা৷ তবে যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে কাজ করছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, গত দুই দিন ধরেই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। এছাড়া রাত থেকে ভোর পর্যন্ত যমুনা সেতুর ওপর ৬টি গাড়ি বিকল হয়৷ এসব বিকল গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে৷ এছাড়া রোববার সকাল ৭টার দিকে সেতুর ওপর একসঙ্গে ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটে৷ এতে করে একাধিকবার টোল আদায় বন্ধ করা হয়। যার কারণে মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতি তৈরি হয়। এসব দুর্ঘটনায় গাড়িগুলো সরিয়ে নিতে সময় লাগে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও উত্তরঙ্গগামী যানবাহন চলাচলে ধীরগতি রয়েছে
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা ও গাড়ি বিকলের কারণে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া গাড়িগুলো ধীরে যাচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, যানজট নিরসনে পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে৷ আশা করছি দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
যমুনা সেতুর ওপর সড়ক দুর্ঘটনা, গাড়ি বিকল ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে গতকাল সারাদিনই সেতুর দুই প্রান্তে যানজট ছিল। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে যমুনা সেতু থেকে পুংলি পর্যন্ত প্রায় ১৭ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে উত্তরঙ্গগামী প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।