মফিজুল ইসলাম, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপার মির্জাপুর ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামে জমিজমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ২৫ জন গুরুত্বর আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বালাপাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিমতলা এলাকায় কুমার নদের মধ্যে কিছু খাস জমি সরকারের নিকট থেকে বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ভোগ দখল করে আসছিল। সম্প্রতি একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি ওই সম্পত্তির কিছু অংশ নিজের দাবি করে দখল করে চাষাবাদ শুরু করে। তার জের ধরে গত শুক্রবার বিকালে সেলিম হোসেনের দুই সমর্থক একই গ্রামের চাঁদ আলী ও মোজামকে প্রতিপক্ষ আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা মারধর করে। সেই ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে সেলিম হোসেন তার সমর্থকদের নিয়ে বাড়িতে মিটিং করে। মিটিং শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা তাদের উপর অতর্কিতভাবে আমরা চালায়। তখন উভয় গ্রুপের সদস্যরা ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের জাহিদ, মোজাম, চাঁদ আলী, লিয়াকত হোসেন, সাদ্দাম হোসেন ও কাউসারসহ ২৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সাদ্দাম হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করেছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে সেলিম হোসেন জানান, আমি দীর্ঘদিন সরকারের কাছ থেকে খাসজমি বন্দোবস্ত নিয়ে ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ একই গ্রামের আমিরুল নামে এক ব্যক্তি এই জমি তার বলে দাবি করে। তার জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুম খান জানান, বালাপাড়া গ্রামে রাতে জমি জমা কে কেন্দ্র করে আমিরুল ইসলাম ও সেলিম হোসেন গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংবাদ শুনে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।