মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীদের একাংশ। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের মানোরা এলাকায় বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা।
অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, নব্য কমিটিতে যাদের রাখা হয়েছে তাদের শীর্ষভাগই মূল ধারার আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত ছিল না। তাদের মূল্যায়ন করা হয়েছে আর ত্যগীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এই পকেট কমিটি আমরা মানি না।
তার আরো বলেন, টাকা খেয়ে কমিটি করা হয়েছে, এর জন্য ছাত্রলীগের সাথে আঁতাত করে চলেও তারা কমিটিতে ভাইটাল স্থান পেয়েছে। ফলে বাদ পড়েছে অনেক ত্যাগীরা। আন্দোলন সংগ্রামী যারা গায়ের তাজা রক্ত ঝরিয়েছে তাদেরকে আড়াল করে কমিটিতে আমরা থাকতে চাই না।
কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুদ্র, জেলা কমিটির আহবায়ক ওমর ফারুক ও সদস্য সচিব নাহিদ মনিরকে মানিকগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন পদত্যাগকারীরা। সেইসাথে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের হস্তক্ষেপে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গঠিত কমিটি স্থগিত না করা হলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক পুনরায় অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
তারা অভিযোগ করেন, সদ্য ঘোষিত ২১২ সদস্যের কমিটিতে প্রায় ২০ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ‘পকেট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া কমিটি বাতিলের দাবি জানালে বর্তমান কমিটির নেতারা তিনজন আন্দোলনকারীকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তারা।আন্দোলনকারীরা প্রকৃত কর্মীদের মূল্যায়ন করে ত্যাগীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে।
এ সময় নব্য গঠিত কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম রাজু, যুগ্ম সদস্য সচিব নাসিম খান, সংগঠক কাওছার আহমেদ, সদস্য শাকিল হোসেন, কায়সার আহমেদ, রনি আহমেদ, আকরাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এক ঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও আগামী ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা। ওই সময়ের মধ্যে কমিটি ভাঙ্গ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে, এক ঘন্টার মহাসড়ক অবরোধের সময় উভয় পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে। এতে যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে পড়েন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওমর ফারুককে আহ্বায়ক ও নাহিদ মনিরকে সদস্য সচিব করে ২১২ সদস্যের কমিটি অনুমোদন দেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তবে এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন কমিটির দাবি জানিয়ে আসছে একাংশ।