দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে বা ডলারের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর পেছনে ছয়টি কারণ মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা জানান, বছরের শেষ মাস হওয়ায় নানা ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেট (পেমেন্ট শিডিউল) এই মাসে। এজন্য বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে। যা আন্তব্যাংক ও বাজারে ডলারের জোগান বাড়াতে ভূমিকা রাখেনি। হুসনে আরা শিখা আরও জানান, বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ফলে ইউপাস এলসি খোলা (আমদানিকরা পণ্যের পাওনা পরিশোধে সময় থাকে ২৭০ দিন) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।
পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি ও অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধসংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো-আউটফ্লো মিস ম্যাচের কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণের বিনিময় হার প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা (ক্রস কারেন্সি হলে তা ক্রস ক্যালকুলেশন করে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা, এর ঊর্ধ্বে হবে না) নির্ধারণ করেছে। এ ছাড়া ড্যাশবোর্ড, ডাটা মনিটরিং ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।