বাগেরহাট প্রতিনিধি: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এরই মধ্যে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে হাঁটু পানিতে প্লাবিত হয়েছে বাগেরহাট পৌরসভার কাঠপট্টি, রাহাতের মোড়, লঞ্চঘাট ও সাধারন মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা। যার ফলে ভোগান্তিতে পরেছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
বাগেরহাট পৌরসভার কাঠপট্টি এলাকার দোকানী সুমন বলেন, বৃষ্টি ও নদীতে জোয়ার এলেই আমাদের এখানকার রাস্তাঘাট হাটু পানিতে তলিয়ে যায়। এখানে দোকানদারী করাও খুব কষ্টের। এমন হাটু পানিতে কেউ দোকানে আসনে চায় না। আমরা খুব কষ্টে আছি।
শহরের লঞ্চঘাট এলাকার হোটেল ব্যবসায়ী জামাল শেখ বলেন, এমন এক শহরের আমরা বাস করি, যেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া পৌরসভার ৯০ ভাগ রাস্তা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সরকার আসে সরকার যায়, নেতা আসে নেতা যায় কিন্তু বাগেরহাট পৌরসভার কোন উন্নতি ঘটে না।
এদিকে, স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে জেলার প্রায় সকল নদ-নদীর। এছাড়া বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩৫/১ পোল্ডারের ভেড়িবাঁধ ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটী উপ প্রকল্প এলাকার ভেড়িবাঁধের কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে ও আমাবস্যার কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে যে কারণে বাগেরহাটের প্রায় সকল নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে মংলা আবহাওয়া অফিস। মোংলা আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাবে বাগেরহাট উপকূলজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অবস্থায় মংলা বন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।