

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন শেষ হলেও শিক্ষার্থীরা এখনো নিজেদের দাবি ও সমস্যার সমাধানে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাকসুর নবনির্বাচিত নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সমাজকর্ম বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন বলেন, “রাকসু নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা উপরমহলের সঙ্গে দেখা করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমস্যার বিষয়ে এখনো কোনো খোঁজ নেননি। ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পর ঢাকায় গিয়ে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের সঙ্গে দেখা করেছেন, কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনগুলো যেন তার চোখে পড়ে না।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. লতিফ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু রাকসু নির্বাচনের অর্ধমাস পার হলেও কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। যদি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেকেই আন্দোলন করতে হয়, তাহলে রাকসুর প্রয়োজন কী?”
রাকসু সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, “রাকসু হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সর্বোচ্চ প্ল্যাটফর্ম, ইনশাআল্লাহ। তাই অনুরোধ করছি, যেকোনো দাবি বা সমস্যা নিয়ে মাঠে নামার আগে রাকসুকে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিন। আমরা বিশ্বাস করি, সমাধান হবে সম্মানের পথে, ঐক্যের শক্তিতে।”
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) নির্বাচিত হন শিবির সমর্থিত প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জিহাদ এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হন স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার। নির্বাচনের পর থেকে রাবি ক্যাম্পাসে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসিক হল, অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের ধর্মঘট এবং শিক্ষার্থী সাইমা হোসেনের মৃত্যুসহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

