রেকর্ডটা এতদিন ছিল সাকিব আল হাসানের দখলে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি উইকেট শিকারী ছিলেন তিনি। তবে এবার তার রেকর্ডে ভাগ বসিয়ে ফেলেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে বনে গেছেন যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
গত রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের পেসাররা যখন রান দিয়েছেন দেদারসে, তখন মোস্তাফিজ ছিলেন বেশ কিপটে। ৪ ওভার থেকে দিয়েছেন মোটে ২০ রান। তবে তিনি উইকেট তুলে নেওয়ার কাজটাও ভালোভাবেই করেছেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে কুশল পেরেরাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে যাত্রা শুরু মোস্তাফিজের।
এরপর শেষ ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকেও কুশলের মতোই লিটনের তালুবন্দি করিয়ে সাজঘরের পথ দেখান। শেষ বলে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন লং অফে তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। তাতেই রেকর্ডটা ছোঁয়া হয়ে যায় তার।
১১৭ ম্যাচে ১১৬ ইনিংসে তার উইকেট এখন ১৪৯টি। সাকিবেরও ঠিক তাই। তবে এই উইকেট তুলে নিতে সাকিবকে খেলতে হয়েছে ১২৯ ম্যাচ, বল করতে হয়েছে ১২৬ ইনিংসে।
তবে মোস্তাফিজের চোখ এখন বিশ্বরেকর্ডেই হওয়া উচিত। সে রেকর্ডটা এখন রশিদ খানের দখলে। ১০৩ ম্যাচে তিনি শিকার করেছেন ১৭৪ উইকেট। সে কীর্তি থেকে মোস্তাফিজের দূরত্ব এখন ২৫ উইকেটের। তার সামনে এখনও আছেন দুজন। ১৫০ উইকেট নিয়ে তালিকার তিনে আছেন ইশ সোধি, দুইয়ে থাকা সাউদির উইকেটসংখ্যা ১৬৪, তবে সাউদি অবসরে চলে গেছেন কিছু দিন আগেই।
গত রাতের ৩ উইকেট মোস্তাফিজকে এনে দিয়েছে এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকাতেও। এবারের এশিয়া কাপে তিনি ৭ উইকেট নিয়েছেন এখন পর্যন্ত। যার ফলে তিনি সর্বোচ্চ উইকেটের তালিকায় অবস্থান করছেন তৃতীয় স্থানে। তার ঠিক ওপরে আছেন কুলদীপ যাদব, তার ঝুলিতে আছে ৮ উইকেট। ৯ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুনাইদ সিদ্দিকি, তবে তার দল বিদায় নেওয়ার ফলে আর উইকেট শিকারের সুযোগ নেই। ফলে শীর্ষ উইকেট শিকারীর লড়াইটা এখন হতে পারে মোস্তাফিজ আর কুলদীপের মধ্যে।