ঢাকা
৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ২:০৩
logo
প্রকাশিত : অক্টোবর ১৯, ২০২৫

নিস্তব্ধ আর্তনাদ: ধর্ষিতা কেন লাঞ্ছিত, ধর্ষক কেন মুক্ত?

মধ্যরাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে যখন একটি আর্তনাদ বাতাসে ভাসে, তখন তা শুধু একটি নারীর নয়, বরং একটি সমাজেরই কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে। সেই কণ্ঠস্বরের প্রতিধ্বনি আমাদের বিবেককে কিঞ্চিৎ নাড়া দিলেও, প্রায়শই তা মিলিয়ে যায় সময়ের স্রোতে। বাংলাদেশে ধর্ষণের শিকার নারীদের বিচার পাওয়ার চেয়ে উল্টো তাদেরকেই সামাজিক লাঞ্ছনা ও অপমানের শিকার হতে হয় বেশি, যা দেশের সামাজিক ও নৈতিক মানদণ্ডকে ক্রমাগত অবনমিত করছে। এই প্রেক্ষাপট একটি গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দেয়: কেন ধর্ষক অপরাধী হয়েও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, আর ধর্ষিতা নিরপরাধ হয়েও বয়ে বেড়ায় আজীবন অপমানের বোঝা? এই প্রশ্নটি আমাদের সমাজের গভীরে প্রোথিত কিছু জটিলতার দিকে নির্দেশ করে, যা কেবল আইনি কাঠামোর দুর্বলতা নয়, বরং সামাজিক মানসিকতার এক নিদারুণ প্রতিফলন।

ধর্ষণের শিকার হওয়া একটি নারীর জন্য শুধুমাত্র শারীরিক আঘাত নয়, এটি আত্মিক এবং মানসিক আঘাতের এক দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই আঘাত তাকে সারাজীবন তাড়া করে বেড়ায়। সমাজের চোখে সে হয়ে ওঠে "ধর্ষিতা", এক অপমানের তকমা যা তার পরিচয়কে ছাপিয়ে যায়। অথচ, অপরাধী প্রায়শই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে, অথবা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে, যা এই বঞ্চনার চিত্রকে আরও প্রকট করে তোলে। এই বৈপরীত্য আমাদের বিচার ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের অধঃপতনকে স্পষ্ট করে তোলে।

১৮ই অক্টোবর, রোজ শনিবার, ঢাকার সাভারে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনাটি সমাজের পচন ধরা অসুস্থ মানসিকতা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। ধর্ষিতা নারীর সম্পূর্ণ পরিচয় সুরক্ষিত রাখা জরুরি, তবে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় (BUP) এবং বয়স (২২ বছর) এই জঘন্য অপরাধের গভীরতা বোঝাতে যথেষ্ট। এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা সমাজের পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট, যাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। তাদের গ্রেপ্তার না হওয়াটা প্রমাণ করে যে, অপরাধীরা যেন আইনের হাতের চেয়েও ক্ষমতাশালী, যা ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার মৌলিক ধারণাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। অপরাধীরা বারবার শাস্তির আওতা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, কারণ বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্বল সাক্ষী সুরক্ষা, এবং তদন্তের ত্রুটি—এসবই অপরাধীদের সাহস জুগিয়ে চলছে। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই ধর্ষণকে একটি পুনরাবৃত্তিমূলক সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত করেছে, যেখানে অপরাধীরা জানে যে তাদের কৃতকর্মের জন্য কঠিন মূল্য দিতে হবে না। রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের আস্থা টিকিয়ে রাখার জন্য এই অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করে, নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং তাদের কঠোরতম শাস্তি প্রদান করা অত্যাবশ্যক।

"ধর্ষক অপরাধী হলেও ধর্ষিতা নিরপরাধ হয়েও তাকে শাস্তি পেতে হচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে"—এই বাক্যটি বাংলাদেশের ধর্ষণ পরিস্থিতির এক নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরে। একজন ধর্ষিতা, যিনি কোনো অপরাধ করেননি, তাকেই সমাজের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। তার পরিবারকে বহন করতে হয় সামাজিক কলঙ্কের বোঝা। তার পুরোটা জীবন কাটতে হয় "ধর্ষিতা" তকমা নিয়ে। সমাজ তাকেই বারবার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করায়, অন্যায় বা অপরাধ না থাকা সত্ত্বেও মানুষের কাছে সে হয় ঘৃণা ও অসম্মানের পাত্র। যুগের পর যুগ ধরে ধর্ষণের মামলার ফাইল আদালতের টেবিলে পড়ে থাকে, আর অপরাধী তার পরবর্তী শিকার বা অপরাধের ছক কষতে ব্যস্ত থাকে।

বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার মানদণ্ডে একজন ধর্ষিতা কখনোই তার সঠিক বিচার পায়নি, যা পরিসংখ্যানও বলে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (ASK) এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার অত্যন্ত কম, যা বিচারহীনতার সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করে। আমাদের দেশে ধর্ষণের যে সঠিক বিচারদণ্ড রয়েছে, সেটি কখনোই কার্যকর করা হয়নি, যা একটি জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। বহু মানুষ এই বিচারের মানদণ্ড সম্পর্কে অবগত নয়, যে কারণে অপরাধীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ সংগঠনে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিচার ব্যবস্থা যদি কঠিন না হয় এবং আইনের প্রয়োগ যদি সঠিকভাবে না করা হয়, তাহলে বাংলাদেশের এই খারাপ পরিস্থিতি বা ধর্ষণের দায়ভার আরও বেড়ে যাবে। নারীরা বাংলাদেশে আরও অনিরাপত্তায় ভুগবে এবং তাদের ভবিষ্যৎ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

এই বিষয়টি বর্তমান সময়ে সমাজের উন্নতির পথে এক বিরাট বাধা। যখন একজন নারী জানে যে, ধর্ষণের শিকার হলে তাকেই সামাজিক তিরস্কারের মুখে পড়তে হবে এবং বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, তখন সে নিজেই হয়তো মুখ খুলতে দ্বিধা করে। এই ভীতি সমাজে এক নীরব শোষণের জন্ম দেয়, যা নারীর ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্ত করে। নারী শিক্ষার প্রসার, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ—সবকিছুই এই নিরাপত্তার অভাবে থমকে দাঁড়ায়। এই শোষণের ফলে সামাজিক বৈষম্য আরও বাড়ে এবং সামগ্রিকভাবে মানবসম্পদ উন্নয়নে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

যদি এই সমস্যার সমাধান না হয়, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। সমাজে নারীদের প্রতি সহিংসতা আরও বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে তারা আরও প্রান্তিক হয়ে পড়বে। এর প্রভাব শুধুমাত্র নারীর জীবনে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং তা সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিফলিত হবে।

সামাজিক অবক্ষয়: নারীর প্রতি অবিচার সমাজে এক ধরনের অবক্ষয় সৃষ্টি করবে। আস্থা ও বিশ্বাসের সংকট দেখা দেবে, যা সামাজিক বন্ধন দুর্বল করে তুলবে। পারিবারিক কাঠামোতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, কারণ ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্রমাগত মানসিক চাপে থাকবে।

অর্থনৈতিক স্থবিরতা: যখন নারীরা সমাজে অনিরাপদ বোধ করে, তখন তাদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ কমে যায়। শিক্ষায় তাদের আগ্রহ কমে যায়, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে। নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাহত হলে দেশের সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা এবং প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।

মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: বিচারহীনতার সংস্কৃতি সমাজে এক গভীর হতাশার জন্ম দেবে। মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে, যা অপরাধ প্রবণতা বাড়িয়ে দেবে। ধর্ষিতা এবং তার পরিবারের উপর দীর্ঘমেয়াদী মানসিক চাপ ও ট্রমা তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনকে দুর্বিষহ করে তুলবে।

আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি: ধর্ষণের ঘটনা এবং বিচারহীনতার কারণে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো দেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করবে, যা বিনিয়োগ এবং পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এই সমস্যাগুলোর সমাধানে ইতোমধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে করবে বলে আশা করা যায়। ডঃ ইউনূসের দর্শন মূলত তৃণমূল পর্যায় থেকে সমাজের সমস্যার সমাধান করা এবং মানুষের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। ধর্ষণ ও বিচারহীনতার মতো সমস্যা সমাধানে ডঃ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

বিচার ব্যবস্থার সংস্কার: ডঃ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক মডেলের মতো বিচার ব্যবস্থায়ও একটি দ্রুত ও কার্যকর প্রক্রিয়া চালু করতে পারেন। তাঁর অধীনে, বিচার ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং দ্রুত করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এটি নিশ্চিত করবে যে ধর্ষকরা দ্রুত শাস্তি পাবে এবং ধর্ষিতারা তাদের প্রাপ্য বিচার পাবে।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: ডঃ ইউনূসের নেতৃত্বে সামাজিক আন্দোলন ও সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি হাতে নেওয়া যেতে পারে। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে যেমন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়েছে, তেমনি নারী ও পুরুষ উভয়কেই ধর্ষণের কুফল এবং নারীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার বিষয়ে সচেতন করা যেতে পারে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশিক্ষণ: পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ধর্ষণের মামলার তদন্ত ও পরিচালনায় আরও সংবেদনশীল ও কার্যকর প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। ভুক্তভোগীদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ এবং সঠিক প্রমাণ সংগ্রহে জোর দেওয়া যেতে পারে।

পুনর্বাসন ও সহায়তা: ডঃ ইউনূসের মডেলের মতো, ধর্ষণের শিকার নারীদের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে সমাজে তাদের পুনর্বাসিত করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

আজকের এই ঘটনা আমাদের সমাজকে এক কঠোর শিক্ষা দিল—আমরা নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কতটা ব্যর্থ। এর মূল কারণগুলি হল সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা, নারীদের প্রতি অসম্মান এবং শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিক মূল্যবোধের অভাব। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনায় শাস্তির হার অত্যন্ত কম, যা অপরাধীদের বেপরোয়া করে তুলছে। এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, কেবল আইন প্রণয়ন নয়, বরং এর কঠোর প্রয়োগ ও সামাজিক মানসিকতার আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হল, কেবল প্রতিবাদ নয়, বরং আমাদের ঘর থেকে নৈতিকতার শিক্ষা শুরু করা—ছেলে-মেয়ে উভয়ের প্রতি সম্মান ও সহনশীলতার বীজ বপন করা। কোনো নারী যখন নির্যাতিত হন, তখন গোটা সমাজই ধর্ষিত হয়; তাই নীরবতা ভেঙে আমাদের সকলকে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়াতে হবে এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই মামলার বিচার হবে এবং অপরাধীরা যেন কোনোভাবেই পার না পায়। এই জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ ও বিচারের মাধ্যমে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করাই হবে দেশের সকল মানুষের প্রতি আমাদের গভীরতম অঙ্গীকার।

বাংলাদেশের ধর্ষণের বিচারহীনতার এই নিদারুণ চিত্র আমাদের সমাজের এক গভীর ক্ষত। এই ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা, দৃঢ় রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং বিচার ব্যবস্থার আমূল সংস্কার। ধর্ষিতাকে নয়, ধর্ষককে শাস্তি দিতে হবে – এই মৌলিক নীতিকে প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে আমরা কখনোই একটি সভ্য সমাজের স্বপ্ন দেখতে পারব না। ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের মতো ব্যক্তিত্বের নেতৃত্বে আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। তাঁর অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতা এই সমস্যা সমাধানে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দিতে পারে। এটি একটি সমাধানযোগ্য সমস্যা, এবং এটি সম্ভব যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আসুন, আমরা সকলে মিলে একটি এমন বাংলাদেশ গড়ি, যেখানে প্রতিটি নারী নির্ভয়ে বাঁচতে পারবে, যেখানে বিচারহীনতার কালো ছায়া আর কোন স্বপ্নকে গ্রাস করবে না।

লেখক
ড. তারনিমা ওয়ারদা আন্দালিব
সহকারী অধ্যাপক
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

দাউদ ইব্রাহিম হাসান
রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

সর্বশেষ
logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ এডভোকেট মো: গোলাম সরোয়ার
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2025 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram