আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের নামে এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণসহ মারপিট করে গর্ভপাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রোববার বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলা হয়।
এ মামলায় হিরো আলমসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর মোসাদ্দেক হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদলত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হিরো আলম অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাসে বাদীকে আকৃষ্ট করেন। এরপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে মৌলভী ডেকে এনে বিয়ের রীতিতে ‘কবুল’ পড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। বাদীর কাছ থেকে শর্ট ফিল্ম তৈরির কথা বলে ১৫ লাখ টাকা ধার নেন তিনি।
অভিযোগকারী মামলার নথিতে উল্লেখ করেছেন, বিয়ের কাবিন করার জন্য চাপ দিলে ১৮ এপ্রিল হিরো আলম তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে যান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। বাদী রাজি না হওয়ায় ২১ এপ্রিল অন্যান্য আসামিরা তাকে মারধর করেন। রক্তক্ষরণ শুরু হলে সেদিনই তাকে বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার গর্ভপাত ঘটে। পরে ২৪ এপ্রিল তাকে শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অভিযোগ সম্পর্কে হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার বিষয়ে শুনেছি। আইনিভাবে এর মোকাবিলা করব। আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।