জিহাদ রানা, বরিশাল ব্যুরো চীফ: ঈদ ঊল আজহার দিন সকালে বরিশাল নগরীর কেডিসি এলাকা সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ভেসে ওঠে এক মৃতদেহ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম জসিম উদ্দিন খান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানায়, তারা সকাল ৮টার দিকে নদীতে মরদেহটি দেখতে পেয়ে সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বরিশাল সদর নৌ থানা পুলিশের এসআই বেলায়েত হোসেন ও এএসআই তাপস কুমার। কিন্তু এরপর যা ঘটে, তা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে যায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, পুলিশ সদস্যরা মরদেহটির গলায় দড়ি বেঁধে সেটিকে একটি ট্রলারের সঙ্গে টেনে তীরে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ও ছবি ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কেন একজন মৃত মানুষের প্রতি এমন অমানবিক আচরণ করা হলো? কোথায় পুলিশের পেশাগত দায়িত্ববোধ, মানবিকতা?
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করে এএসআই তাপস কুমারের সাথে। তিনি প্রথমে ফোনে তেমন কোনো সদুত্তর না দিতে পারলেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতেও অস্বীকৃতি জানান। উল্টো অনুরোধ করেন, যেন এই ঘটনা নিয়ে কোনো সংবাদ প্রকাশ না করা হয়। অভিযোগ আছে, তিনি পরে সংবাদটি বন্ধে একাধিকবার চেষ্টা করেছেন, যোগাযোগ করেছেন বিভিন্ন মহলের সাথে।
আর মরদেহটি টেনে হিচড়ে নেয়ার ব্যাপারে কোন উত্তর না দিলেও এসআই বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা ওসি স্যারের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বরিশাল সদর নৌ থানার ওসি সনাতন চন্দ্র সরকারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পরে থানায় সরেজমিন উপস্থিত হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে থানা সূত্রে জানা যায়, ওসি নিজেও গিয়েছিলেন ওই উদ্ধার অভিযানে। অপরদিকে ঘটনা সম্পর্কে বরিশাল অঞ্চল নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার এসএম নাজমুল হক বলেছেন, এ বিষয়ে আমি জানি না, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।