হুমায়ুন কবীর রিন্টু, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়ায় শত্রু পক্ষের বাড়ির পাশে মিলেছে হত্যা মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) এর লাশ। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে জেলার কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় প্রতিপক্ষ রিকাইল শেখের বাড়ির পিছন থেকে পুলিশ রফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত রফিকুল ইসলাম কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আজিজুর রহমান মোল্যার ছেলে। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা গ্রুপের সাথে আফতাব মোল্যা গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে গত (১১ এপ্রিল) শুক্রবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আফতাব মোল্যা গ্রুপের বৃদ্ধ ফরিদ মোল্যা (৫৭) নিহত হন। এ হত্যা ঘটনায় ১৭ এপ্রিল নিহতের স্ত্রী কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলায় মিলন মোল্যা গ্রুপের রফিকুল ইসলামকে ১৮নং এজাহার নামীয় আসামি করা হয়। হত্যাকান্ডের পর রফিকুল গা ঢাকা দেন। হত্যা ঘটনার পর প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের লোকজন মিলন মোল্যা পক্ষের লোকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে, এমন অভিযোগ এনে রফিকুল ইসলামের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে রোববার (২৭ এপ্রিল) একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনার ঠিক দু’দিন পর মঙ্গলবার সকালে রফিকুলের পা বাঁধা মরদেহ প্রতিপক্ষ রিকাইল শেখের বাড়ির পেছন থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে পড়েছিলো। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, লাশের শরীরে তারা কোন আঘাতের চিহৃ দেখতে পাননি। অনেকে মন্তব্য করেন রফিকুলের খুনের ব্যাপারটি রহস্যজনক।
তবে রফিকুলের পরিবারের দাবি, প্রতিপক্ষ আফতাব মোল্যা পক্ষের রিকাইল শেখ লোকজন নিয়ে এমন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। তারা খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা খবর পাই রিকাইল শেখের বাড়ির পিছনে রফিকুল ইসলাম নামে একজনের মরদেহ পড়ে আছে। নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড কি-না, তা এখনি বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ও তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানানো যাবে।