কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের দক্ষিণ পাশের বাউন্ডারী ওয়াল সংলগ্ন একটি গেইট নির্মাণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী কোভিড-১৯ এর সময়ে বন্ধ করা গেইটটি খুলে দেওয়ার আবেদন করেন। এরই প্রেক্ষিতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠি ইস্যু করা হয়। ফলে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে পকেট গেইট নির্মাণ করে দেওয়া হয়। জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্দেশনা মোতাবেক পকেট গেইটটি খুলে দেওয়া হয়। পকেট গেইটটি খুলে দেওয়ার দুইদিন পর একই স্থানে এলাকাবাসীর পক্ষ হতে রিক্সা, মাইক্রোবাস, গাড়ি, ফায়ার সার্ভিস, এম্বুলেন্স প্রবেশের উপযোগী করে একই স্থানে একটি বড় গেইট নির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়।
এছাড়াও জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরের মূল ফটক ছাড়াও দুইটি বড় গেইট, দুইটি পকেট গেইট, একটি ইনডোর স্টেডিয়াম ও ইনডোর স্টেডিয়ামের রাস্তাসহ বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণের আবেদন রয়েছে।
বর্তমান পরিষদ সূত্র হতে জানানো হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ছাড়া গেইট করা যায়না। যে ব্যক্তিরা পকেট গেইটের আবেদন করল, একই ব্যক্তিরা আবার বড় গেইটের আবেদন করাটা রসহ্যজনক এবং আমাদের আইন পরিপন্থি ও পরিষদের সকল সদস্য এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। পরিষদের সিদ্ধান্ত ও স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত গেইট করা যায়না। ওদিক দিয়ে এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস যাবার রাস্তা নেই। ভেতরে সব সরু রাস্তা। আরও অনেক গেইট আর ইনডোর স্টেডিয়ামের জন্যও আবেদন রয়েছে। ওদিক দিয়ে গেইট দিতে হলে বাকিদেরও গেইট দিতে হবে যা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ অনুমোদন দেবেনা। পুরো বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের মতামত চেয়ে চিঠি লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় কাজ করে প্রশাসন। পরিষদের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের আগেই চতুর্পাশে বেশকটি গেট ছিল। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে সেগুলো বন্ধ করা হয়। এখন লিখিত দাবি ও কমিশনার কার্যালয়ের লিখিত নির্দেশনায় পকেট গেইট পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদনের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বড় ও ছোট গেইট স্থাপনে একাধিক আবেদন পরেছে। পক্ষে বিপক্ষে মতামত রয়েছে। যাচাই বাছাই করে উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পদক্ষেপ গ্রহণে মতামত দিয়েছে উপজেলা কৃষি ও সমবায় কর্মকর্তা সহ পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা।
এছাড়াও জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের কোয়ার্টারে বসবাসরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদের ভিতরে আবাসিক কোয়ার্টারে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটে। তাই উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নতুন গেইট নির্মাণ না করা এবং পূর্বের গেইট নির্ধারিত সময়ে তালাবন্ধ করে দেওয়ার আবেদন করেছেন।