জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার হাটবাজারের ইজারা ও বিভিন্ন ডিলার নিয়োগকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জু ও আলাউদ্দিন আল মামুন, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সাদা এবং তার ভাই আতিকুর রহমান সাজু—এই পদধারী নেতারা পৌর এলাকার হাটবাজার থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছেন।
নতুন বছরে পৌরসভা নিয়ম অনুযায়ী হাটবাজারের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করলে, স্থানীয় সাধারণ ব্যবসায়ীরা দরপত্র কিনে প্রস্তুতি নেন। কিন্তু দরপত্র ড্রপ করার আগের রাতে অস্ত্রসহ মঞ্জু ও মামুন দরপত্রকারীদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের দাবি, দরপত্র তাদের কাছে জমা দিতে হবে, অন্যথায় পরিণতি ভয়াবহ হবে।
এছাড়া, ওএমএস চালের ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য প্রতিটি আগ্রহী প্রার্থীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক নেতা এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করলে তাকে দলে ‘সিনিয়রদের অসম্মান’ করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃত ওই নেতা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সব অনিয়মের বিবরণ তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের আজীবন সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্যাশিয়ার ক্ষ্যাত শ্যামল সাহার বিরুদ্ধেও রয়েছে গুরুতর অভিযোগ। অভিযোগ অনুযায়ী, শ্যামল সাহা বেশ্ম্যবিরোদী আন্দোলনে ছাত্রদের দমন-পীড়নে পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ৫ই আগস্টের পট পরিবতনের পরে যুবদল আশ্রয় দেন এবং ফ্যাসিস্ট শ্যামল যুবদলের আশ্রয়ে থেকে এখন শ্যামল এবং যুবদল যৌথ ভাবে ঠিকাদারি কাজ ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। যা মূলত ৫ ই আগস্টের বেশ্ম্যবিরোদী আন্দোলনের রক্তের সাথে বেইমানী মনে করেন সাধারণ জনগণ।
এইসব কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণ, এমনকি বিএনপি অনেক সাধারণ নেতা-কর্মীও বিব্রত এবং আতঙ্কিত। দেওয়ানগঞ্জের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।