রাজিবপ্রধান, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের শ্রীপুরের সাগর (১৮) নামে এক যুবককে অপহরণ করে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুজনকে আটক করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে অপহৃত সাগরকেও। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা। অপহৃত সাগর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের তৌফিক সিএনজি স্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কর।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টর দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে তৌফিক ও তার সহকারীরা একই এলাকার সাগরকে তার বাড়ি থেকে ডেকে এনে তৌফিক সিএনজি স্টেশনে নিয়ে যায়। এসময় সাগরকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে এবং ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে অপহরণকারীরা সাগরের বড় ভাই মোঃ সোহাগের কাছে ফোন দিয়ে টাকা নিয়ে আসতে বলে। টাকা নিয়ে আসতে দেরি হলে অপহরণকারীদের দুজন টাকার জন্য সাগরের বাড়িতে গেলে এলাকার স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অপহরণকারী সদস্যের দুজনকে আটক করে শ্রীপুর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
অপহরণকারী সদস্যের দুজন হলো- মুলাইদ গ্রামের রমজান আলীর ছেলে মোঃ সাদাব (২৫) ও নাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ আসাদ মিয়া (২০)।
পরবর্তীতে রাত অনুমান ৩ টার দিকে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে সাগরের বড় ভাইয়ের মোবাইলে ফোন আসে আপনার ছোট ভাই সাগর বর্তমানে গাজীপুর বাইপাস কাঁচাবাজারের সামনে একটি দোকানে আছে, সে খুবই অসুস্থ তাকে নিয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। বর্তমানে সাগর সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী সাগর জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাদাব ও শিমুল সরকার তার বাড়িতে গিয়ে বলে, তৌফিক তাকে ডাকছে। পরে তাকে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে তৌফিক সিএনজি স্টেশনে নিয় যায়। সেখানে তৌফিক তার কাছে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পাবে বলে জানায়। পরে তৌফিক সহ ৫-৬ জন মিলে টাকার জন্য তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তার বড় ভাই সোহাগের কাছে ফোন দিয়ে ৪ লাখ টাকা দাবি করে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।