গাজীপুর প্রতিনিধি: "যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয়" শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার গাজীপুর শহরের আইন ও সালিশ কেন্দ্র আসক কনফারেন্স রুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহযোগিতায় পরিচালিত ব্র্যাকের "অগ্নি প্রকল্প" এর আওতায় যৌথ উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের সমন্বয়কারী আসমা খানম রুবা। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন জেলা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান। সভায় যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম, প্রকল্পের লক্ষ্য এবং কর্ম এলাকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
"অগ্নি প্রকল্প"-এর মাধ্যমে পরিবহন, বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ১৪টি সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সভায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় গণমাধ্যম ও সিএসও থেকে সংগৃহীত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ধর্ষণের শিকার ২৩ জন, শারীরিক নির্যাতন ৪ জন, অনলাইনে যৌন হয়রানি ৩১ জন, বাল্যবিবাহ ৫৫ জন ও অপহরণ হয় ১২ জন।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৭৮ জন ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রাথমিক কাউন্সেলিং সেবা পেয়েছেন ২৪২ জন। আইনি সহায়তার পরামর্শ দেয়া হয়েছে ৭৯ জনকে ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে ৮ জনকে।
আসমা খানম রুবা বলেন, "নারী ও শিশুদের যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি। গণমাধ্যম কর্মীদের এই ইস্যুতে সচেতনতা ও প্রাসঙ্গিক প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে নৈতিকতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।