স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ: নানা অনিয়মের অভিযোগে গোপালগঞ্জের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচলক মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল এওই দুই অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ কায্যালয়ের উপ-পরিচলক মো. মশিউর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়নে জেলার সিভিল সার্জনের অজ্ঞাতসারে ২০শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজ ২০১৯ সালে শুরু হলেও ৫০ ভাগ কাজ এখনো শেষ হয়নি। অথচ এ প্রকল্পের ১৬ কোটি ১৯ লাখ টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনবার সময় বৃদ্ধি করা হলেও উক্ত প্রকল্পের ঠিকাদার ও প্রকৌশলীগণ পরস্পর যোগসাজশে কাজ সমাপ্ত না করে মূল্য বৃদ্ধির দোহাই দিয়ে বারবার ব্যয় বৃদ্ধি করাচ্ছেন। এতে সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিস বা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের না জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশলের অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারগণ সরকারের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ ও ক্ষতিসাধন করছেন। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তদন্তসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের ব্যক্তিগত মালিকানায় নির্মিত সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্কে সরকারি টাকা ব্যয় করে পানির লাইন ও পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন গ্রামে টিউবয়েল ও ল্যাট্রিন বিতরণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, পানির লাইন সরবরাহে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টিউবয়েল বিতরণে সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে কয়েক গুন টাকা নেওয়ারও অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
দুদক কর্মকর্তা আরো বলেন, যেহেতু জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানিয়েছে তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত চাহিদা ও নামের তালিকা নিয়ে কাজ বাস্তবায়ন করে থাকেন, সেহেতু ইউনিয়ণ পর্যায়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।