স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ: জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে জেলার সকল সরকারি সেবা প্রদানকারী অফিসের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের প্রান্তিক জনগোষ্টীর কাছে গেলেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি সেখানকার ৩৯৯ পরিবারের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনলেন, তাৎক্ষনিক সংশ্লিস্ট অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে সে সম্পর্কে জেনে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার নির্দেশ দেন।
রোববার বিকেলে গোপালগঞ্জ শহরতলীর লতিফপুর ইউনিয়নের চরমানিকদাহ আশ্রায়ন প্রকল্পে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্স কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক আশ্রায়ন প্রকল্পের কর্ম-সংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য, সমাজসেবা, যাতায়াত, খাবার পানি, নিসরাপত্তাসহ সকল প্রকার সমস্যার কথা শোনেন। সে সকল সমস্যার বিষয়ে সেখানে উপস্থিত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের করণীয় সম্পর্কে জানেন। এবং যে সকল সমস্যা সমাধানে সময় লাগবে সে সকল বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে জেলা প্রশাসক আশ্রায়ন প্রকল্পের ৩৯৯ পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এসময় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফয়েজ আহম্দে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শেখ সামচুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুল কবীর চন্দন, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জান্নাত, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনীম আক্তার, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাগুফতা হক, সিনিয়র সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেবালা চক্রবর্তী সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, প্রতিটি উপজেলায় যে মাসিক মিটিং হয়, সে মিটিংটি উপজেলার হলরুমে না করে মাঝেমধ্যে যেকোন একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে মিটিং করতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় গিয়ে জনগণের সুখ-দুঃখের কথা শুনতে হবে এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা জেলার প্রত্যেকটি আশ্রয়ন প্রকল্পে গিয়ে গরীব মানুষের কথা শুনবো, সরকারি সেবা সমূহ তাদের দোরগোড়ায় পৌছে দিবো।
এদিন আশ্রয়ন প্রকল্পের জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক সেখানে একটি প্রাইমারী স্কুল, ঈদগাহ, মসজিদ, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ঘাটলা, ড্রেন, রাস্তা দ্রুত নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিস্ট অফিস প্রধানদের নির্দেশ দেন।