চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের চৌগাছায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী ধীরেন্দ্র নাথ কে অপহরণের পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার সলুয়া বিশ্বাস পাড়া এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণ কাজে ব্যবহৃত একটি মাইক্রো বাস জব্দ করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, ঝিকরগাছার বোদখানা এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আবু সাইদ আল মামুন বাবু (৪২) ও যশোর সদরের ইছালি এলকার শহিদুল ইসলামের ছেলে ফিরোজ হোসেন (৪৫)। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে শহরের ফুড গোডাউনের সামনে থেকে অপহরণের শিকার হন ধীরেন্দ্র নাথ।
আপহরণকৃত ধীরেন্দ্র নাথের স্ত্রী পদ্মরানী দে জানায়, ‘তার স্বামী শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ, দোকানে বসতে পারে না। ঘটনার দিন বাড়ীতেই ছিলেন। ছেলের বাড়ীতে ফিরতে দেরী হচ্ছে দেখে তিনি সন্ধ্যার পর দোকানে যাওয়ার জন্য বাড়ী থেকে বের হন। দোকান বন্ধ করে ছেলে বাড়ী আসলে আমি তাকে বলি তোর বাব কই? ছেলে আমাকে বলে বাবা তো দোকানে যায়নি। তখন আমি তাকে বলি তোর বাবাকে ফোন দে। সে কল দিলে ফোনটি বন্ধ দেখায়। আমার ছেলেকে বলি তোর বাবা খুব অসুস্থ খুঁজে বাড়ীতে নিয়ে আয়’।
এরপর থেকেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। শহরের পরিচিত একজন জানায়, ধীরেন্দ্র কে ফুড গোডাউনের সামনে একটি মাইক্রো গাড়িতে উঠাতে দেখেছে। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মোবাইল থেকে ছেলে উত্তমের ফোনে কল আসে। ওপাশ থেকে বলা হয় তাকে জীবিত পেতে হলে ২০ লাখ টাকা রেডি কর। ১০ মিনিট পরেই আবারো কল আসে। তারা বলে একটি ব্যাগে করে টাকাটা নিয়ে আয়। আর পুলিশকে বললে ভালো হবে না। শেষমেষ তার তার ছেলে উত্তম বিষয়টি চৌগাছা থানা পুলিশকে জানায়। পরবর্তীতে চৌগাছা থানা পুলিশ ও যশোর ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
ধীরেন্দ্র নাথের ছেলে উত্তম কুমার দে বলেন, গত সোমবার আমাদের দোকানে হালখাতা ছিলো। অনেকে হালখাতার বিষয়টি জানে। সন্ত্রাসীরা সেই হালখাতার টাকার জন্য হয়তো বাবাকে অপহরণ করতে পারে।
এ বিষয়ে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন উদ্ধার ও আটকের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককারীদের কাছ থেকে তথ্য বেরিয়ে আসছে।