শার্শা (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমির আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মোছাঃ নুরজাহান বেগম (খুকি) নামে এক নারী।
তিনি তার ছেলেকে গুলি করার অপরাধে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী সদর আদালত যশোরে একটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় আরও ৩ জন এস আইকে আসামি করা হয়েছে। যার মামলা নং সি, আর -৫০১৪/২৪। যার আদেশ নং ১,স্মারক নং ৬৬০/২৪। তাং ২৩ ডিসেম্বর ২৪।
মামলাটি আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলা রুজু করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া, আমলী আদালত কোতয়ালী যশোর।
এ ব্যাপারে মামলার ৪ নং আসামি বর্তমান শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলাটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি জানান, মামলার বিবরণের ঘটনা ২৯ এপ্রিল ২০১৪ তারিখের। তবে ঘটনার ৯ দিন আগে ২০ এপ্রিল ১৪ তারিখ থেকে ১৪ জুন ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ২ মাস ধরে তিনি পিটিসি খুলনায় নবায়ন কোর্সে ট্রেনিং এ ছিলেন। যার ডিও নং ১৯১১, তাং১৫ জুন ২৪ নবায়ন কোর্সে অংশ গ্রহন করে সাফল্যের সহিত সম্পন্ন করেন মর্মে প্রত্যয়ন প্রদান করেন যশোর পুলিশ সুপার।
অন্যদিকে মামলার বাদী মোছাঃ নূরজাহান বেগম (খুকি) কোতয়ালী থানার আবাদ কচুয়া রহিম পাড়া গ্রামের মৃত আসমত মোল্লার স্ত্রী। মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে খুলনা-যশোর মহাসড়কের এস,কে ফিলিং ষ্টেশন সংলগ্ন টাউন ব্রিজের পাশ থেকে আসামিগণ তার ছেলে মোঃ মজনুকে গ্রেফতার করেন। এ সময় আসামিগণ আটক মজনুর কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদার টাকা না দিলে আসামিগণ তার ছেলেকে গুলি করে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেন। অভিযোগে আরও জানা গেছে, বাদী আসামিদেরকে চাঁদার টাকা দিতে না পারায় মামলার ২ নং আসামি এস আই সোয়েব ও ৩ নং আসামি এস আই শেখ আজগর তার ছেলেকে পিছন দিক দিয়ে হাত কড়া পড়ায়। এ সময় ২ ও ৩ নং আসামি মজনুকে পা ও হাত দিয়ে মাটিতে চেপে ধরে রাখলে মামলার ১ নং আসামি এস আই জামান ও ৪ নং আসামিএস আই বর্তমান শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস তাদের অস্ত্র দিয়ে মজনুর বাম পায়ের হাটুর উপরে ২টি গুলি করে।
অতঃপর আসামিরা মজনুকে প্রথমে যশোর ২৫০ সয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় আসামিরা একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে মজনুকে জেল হাজতে প্রেরণ করে বলে বাদী মোছাঃ নুরজাহার বেগম (খুকি) মামলায় অভিযোগ করেছেন।
এদিকে শার্শা থানার ওসি আমির আব্বাস জানান, তিনি ২০০৫ সাল থেকে সুনামের সাথে তার পুলিশি দায়িত্ব পালন করছেন। তার বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগের সাথে কোন ভাবেই জড়িত না বলে জানান তিনি। তিনি তার বিরুদ্ধে দেওয়া ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা এ মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছেন।