চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ভ্যানচালক রাজু আহমেদকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় মূল আসামীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূলতঃ ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি, মোবাইল ও ৩টি চোরাই ভ্যান।
আজ শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম ওয়াসিম ফিরোজ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত খাদেমুল ইসলাম ওরফে মধু এবং চোরাইভ্যান কেনার সাথে জড়িত আমিনুল ও আমানত আলী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, ডিবি পুলিশ ও নাচোল থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে গত ২৬ জুন রাতে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ হতে এই হত্যা মামলায় সরাসরি অংশ নেওয়া খাদেমুল ইসলাম ওরফে মধুকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী তার পূর্ব পরিচিত ভ্যানের মেকার আমিনুল ও আমানত আলীর কাছে ২০ হাজার টাকায় দরদাম ঠিক করে নগদ ১৪ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে। পরে পুলিশ শুক্রবার (২৭ জুন) ছিনতাইকৃত রাজুর ভ্যানটি নাচোেেলর ফতেপুরের মসজিদপাড়ার আমানত ও আমিনুলের বসতবাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
তিনি আরও বলেন, মুলতঃ ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই রাজুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত খাদেমুল ইসলাম ওরফে মধুু এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিবেন মর্মে আজ শনিবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করবেন পুলিশ।
পুলিশ আরও জানায়, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিবাহসূত্রে নাচোলের বিরেনবাজার এলাকায় মধুর ব্যবসা করে আসছিল খাদেমুল। একই এলাকায় থাকা সুবাদে রাজুর সাথে বন্ধুত্ব হয় খাদেমুলের এবং তারা একসাথে নিয়মিত গাঁজা ও চুয়ানি সেবন করতো। মূলত ভ্যানটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই রাজুকে হত্যার পূর্বে অতিরিক্ত চুয়ানি খাইয়ে অচেতন করে গলাকেটে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৩ জুন) সকালে নাচোল উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের পারিলা গ্রামে সড়কের পাশ থেকে রাজুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ভ্যানচালক রাজু আহমেদ নাচোল সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত মোতালেব হোসেন ফাঁকুর ছেলে। পরে এ ঘটনায় নাচোল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন রাজুর মা সুলতানা বেগম।