ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ সোমবার বিকেলে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। এই বৈঠককে সৌজন্যমূলক বলে জানানো হয়েছে। শনিবারই হাইকমিশনার কলকাতায় পৌঁছে গেছেন। দীর্ঘ ১০ মাসের ব্যবধানে গত মাসে নয়াদিল্লিতে হাইকমিশনার হিসেবে এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ দায়িত্ব নিয়েছেন। কিছু দিন আগেই ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পরিচয়পত্রও পেশ করেছেন তিনি। দায়িত্ব নেয়ার পর বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত সম্বলিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে সফরে এসেছেন। এ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশের তৎকালীন হাইকমিশনার মোয়াজ্জেম আলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা। এরপর আর কোনো বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সঙ্গে মমতা বৈঠক করেননি।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, সীমান্ত দিয়ে সন্দেহভাজন বাংলাদেশি হিসেবে ভারতের নাগরিকদের পুশব্যাক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ। আবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চিঠি লিখেছিলেন।
মনে করা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙচুর নিয়ে 'প্রকৃত তথ্য' তুলে ধরা হতে পারে মমতার কাছে। সীমান্ত সমস্যা নিয়েও কথা হতে পারে দুইজনের মধ্যে। আলোচনা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়েও। নদীর পানি বন্টন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর মনোভাব বুঝতে।
জানা গেছে, হামিদুল্লাহর এই সফরে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। প্রসার ভারতীর সাবেক সিইও তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ জহর সরকারের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছ। মঙ্গলবার প্রাতরাশে জহর সরকারের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। দু'জনের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের সঙ্গেও আলাদা বৈঠক রয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।