মানিক ভূঁইয়া, নোয়াখালী: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ১৯তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন শুরু হয়েছে। আজ রোববার (২২ জুন ২০২৫) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ।
সকাল ১০টায় পর পর জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি সমূহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এসময় বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা ও কেক কাটার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্রারম্ভস্থলে এসে শেষ হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীতে আপনাদের সবাইকে আন্তরিক অভিবাদন ও শুভেচ্ছা জানাই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছন, তাদের কৃতজ্ঞতাভরে স্মরণ করছি। এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে আমরা শুধু র্যালি কিংবা কেক কাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখছি না। এ বছর নোবিপ্রবিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনকে ঘিরে প্রথমবারের মতো রিসার্চ ফেয়ার, একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ ও গবেষণা উপস্থাপনার আয়োজন করা হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, আজ কেক কাটার মাধ্যমে উদযাপন শুরু হচ্ছে। আগামীকালের আয়োজনে (২৩ জুন ২০২৫) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার প্রধান অতিথি হিসেবে আমাদের মাঝে উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে রিসার্চ ফেয়ারের স্টলগুলোর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল রিসার্চ ফেয়ার উদ্বোধন এবং রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড, ডিনস অ্যাওয়ার্ড ও ভাইস-চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে এবং বিকেলে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির রিসার্চ প্রেজেন্টেশন এবং সর্বশেষ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছি এবং সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।