মহিনুল ইসলাম সুজন, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যাদের নেতৃত্বে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে তাদের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়েছে। আমরা মনে করি বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সময় বিবেচনায় বাংলাদেশে একাধিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে যখন একাধিক রাজনৈতিক শক্তিশালী দল থাকবে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা শুরু হবে। যখন আমরা দীর্ঘদিন ধরে দেখি এক থেকে দুটি শক্তিশালী রাজনৈতিক তখন জণগণের হাতে অপশন কম থাকে। একবার একদল আর একবার যদি ভালো না লাগে আরেক দল। ঘুরে ফিরে দুটি দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ অবস্থান। এই অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে বের হতে হবে। আমরা এতদিন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নমিনেশন কেনার কালচার দেখেছি। আমরা মার্কা নিয়ে জিতে যাওয়ার কালচার দেখেছি। কোনো একটি ব্যক্তি যখন ক্ষমতাসীন দলের মার্কা পায় অন্যরা তাকে জোর জবরদস্তি করে জিতিয়ে দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। আমরা আমাদের বাংলাদেশে এই নোংরা কালচার আর দেখতে চাইনা। আমরা দেখেছি থানার অনেক পুলিশ টাকা ছাড়া কাজ করেনা, ভূমি অফিসে টাকা ছাড়া কাজ চলেনা।আমরা দেখেছি, হাসপাতালগুলোতে জণগণ তাদের যে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা তা পায়না।
সোমবার (২৬ মে) বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদরের বিজয় চত্বর মোড়ের পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আসাদুল্লাহ আল গালিব, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আলী নাসের খান বক্তব্য দেন। এর আগে একই উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট বাজারের পথসভায় অংশগ্রহণ করেন তারা।
সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলেছি, আমরা স্থানীয় নির্বাচন আগে চাই। কারণ কোনো একটা সরকারে মাধ্যমে যদি নির্বাচন হয় তাহলে তারা তাদের প্রার্থীদের জেতানোর জন্য সর্বস্ব চেষ্টা করে। কিন্তু এখন যদি হয় তাহলে যোগ্য মানুষ নির্বাচিত হবে, অন্য কেউ এত সহজে প্রভাব দেখানোর সুযোগ পাবেনা। আমরা বলেছি, নির্বাচনটা আগে হবে হোক কোনো সমস্যা নেই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দেয় তখনি হোক কিন্তু, এতগুলো খুন যে খুনি করেছে সেই খুনির বিচার হতে হবে। ৫ই আগস্টে মানুষ যে সংস্কার গুলোর স্বপ্ন দেখেছে সেই সংস্কার গুলো হতে হবে। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন দিয়ে জণগণের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে, তার পাশাপাশি সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করবে।
ডিমলাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা দেখছি ডিমলার মত গুরুত্বপূর্ণ শহরে রাস্তা গুলোর কি বেহালদশা। বিগত ১৬ বছরে আপনাদের নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু আপনাদের রাস্তার এ অবস্থা কেন? আপনাদের সাথে আমাদের রাজপথে দেখা হবে হয় সংগ্রামে, নয় বিজয়ে। ততদিন পর্যন্ত ডিমলাবাসী ভালো মানুষদের সাথে থাকবে, খারাপ মানুষদের তিরস্কার করবেন, মার্কা দেখে ভোট না দিয়ে ভালো মানুষদের ভোট দিবেন।