মাঈন উদ্দিন সরকার রয়েল, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া-মদন পাকা সড়কের কেন্দুয়া উপজেলা পৌরসভার সাউদপাড়া মোড় থেকে কেন্দুয়ার সীমানা বা মদন উপজেলার প্রবেশদ্বার পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ভগ্নপ্রায় অবস্থার জন্য চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির প্রায় ৬ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তগুলোতে বৃষ্টি হলে পানি জমে ধীরে ধীরে আরো বড় আকার ধারণ করে।
গর্তে জমে থাকা খানাখন্দ সাধারণ জনগণ ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়াও কেন্দুয়া পৌরশহরের সাউদপাড়া মোড়, কেন্দুয়া সরকারি কলেজ মোড়, গোগ বাজার মোড় এলাকার সম্পূর্ণ সড়কজুড়ে বেশ কয়েকটি বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুটি সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনগণ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন। ফলে ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি দেখেও দেখছেনা। ভাঙাচোরা এ সড়কটির জন্য গত এক থেকে দেড় বছর ধরে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করছে। প্রায় সময়ই সড়কের বড় বড় গর্তে গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। এ রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। গাড়িরও ক্ষতি হচ্ছ।
রাস্তাটা তাড়াতাড়ি মেরামত করা না হলে চলাচল করাই দুরূহ হয়ে যাবে।’তাছাড়া এই সড়ক দিয়ে খালিয়াজুড়ি, মদন, আটপাড়া উপজেলার দূরপাল্লার বাস ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করে থাকে এবং ওই উপজেলাগুলো হাওর বেষ্টিত হওয়ার কারণে ধান মৌসুমে শতশত ট্রাকও ঝুঁকি নিয়েই ধান দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পৌঁছে দেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কেন্দুয়া উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার বলেন, ‘সত্যি সড়কটির অবস্থা খুব খারাপ। পুরো উপজেলার এরকম আরো কয়েকটি সড়কের অবস্থাও খারাপ। কিন্তু ফান্ডিং স্বল্পতার কারণে সড়কটি রাস্তার সংস্কার কাজ এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমরা সংস্কারযোগ্য সব সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। এরমধ্যে কেন্দুয়া-মদন সড়কটির সংস্কার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি করা হবে।’