কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁদার হাত বদল হয়েছে, কিন্তু চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদে এক পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কেরানীগঞ্জে এসে দেখছি সুন্দর একটি রাস্তা রয়েছে। কিন্তু রাস্তার দুই পাশের খালগুলো দেখে মনে হচ্ছে এগুলো ডাস্টবিন নতুবা নর্দমায় পরিণত হয়েছে। অথচ খালগুলো সুন্দরভাবে খনন করা যেত, তাহলে কেরানীগঞ্জ সুন্দর একটি পর্যটন স্পটে পরিণত হতে পারত। আমরা জেনেছি এই খাল খননের জন্য এবং উন্নয়নের জন্য কেরানীগঞ্জে অসংখ্য বাজেট এসেছে। এখানকার কিছু কিছু ভন্ড পীর ও তাদের ভন্ড মুরিদরা সেগুলো বিদেশে পাচার করেছে। তাদের এই অপকর্মের জন্য তারা এখন জেলখানায় রয়েছে। সেখান থেকে তারা আবার সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। এই ভন্ড পীরেরা যাদের নিজেদেরই কোন অস্তিত্ব নেই।
সারজিস বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কেরানীগঞ্জে আমি এই প্রথম আসলাম। আমার আরও আগে আসা উচিৎ ছিলো। আমরা আশা করেছিলাম ৫ আগস্টের পর কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজি থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখলাম দুর্নীতি, চাঁদাবাজি এখনও চলছে। আমাদের লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই চলছে চলবে। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ থেকে ৫ মাস আগে খুনি হাসিনা আমলে কেরানীগঞ্জে যে চাঁদাবাজি চলত, এখন তার শুধু হাত বদল হয়েছে। কিন্তু বন্ধ হয়নি। বিগত বছর গুলোতে খুনি হাসিনা মানুষের উপর যে জুলুম চালিয়েছে। বাংলার মানুষ তা ভুলে যায়নি। খুনি হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় ছিলো দেশের মানুষের উপর দুঃশাসন জুলুম করেছে। বিগত সাড়ে ১৫ বছর দুঃশাসন, জুলুমের কষ্ট মানুষ ভুলতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি জাবেদ, সাইমন চৌধুরী, অপু, ফেরদৌস, বকুল ও সুমন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আলামিন মিনহাজ, জুম্মন, ইমরান প্রমুখ।