কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: ধীরে ধীরে গত কয়েকদিন যাবৎ বাড়ছে যমুনার পানি। সেইসাথে দেখ দিয়েছে উপজেলা চরাঞ্চলের নানা স্থানে ভাঙন। গত ২৪ ঘণ্টায় কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে এখনো বিপৎসীমার প্রায় ২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইসাথে এই দফায় বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ছয়টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯১ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)।
অপরদিকে জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৮ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ দশমিক ১২ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।
পাউবো সূত্র জানায়, গত ২০ জুন থেকে যমুনায় ধীরগতিতে পানি বাড়া শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩ সেন্টিমিটার থেকে শুরু করে ১৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি বাড়ার রেকর্ড রয়েছে। তবে গত বুধবার (২৫ জুন) থেকে পানি বাড়ার হার বেড়ে যায়।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। আগামীকালও (শুক্রবার) পানি বাড়বে। এরপর থেকে তবে পানি বাড়ার হারটা কমে আসবে। এখন পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা নেই। কারণ উজানের দিকে পানি কমে যাচ্ছে।
তবে এরইমধ্যে চরাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর, চরগিরিশ, ভেটুয়া, খাসরাজবাড়ির নানাস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এবাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে তাহলে চরগিরিশের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন ঝুঁকিতে পড়বে বলে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন।
কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, যমুনায় পানি বাড়তে থাকলেও এখন পর্যন্ত ফসলি জমি প্লাবিত হবার খবর আমাদের নিকটে নেই। আমরা বন্যার প্রস্তুতির বিষয়ে সজাগ রয়েছি।