মানিক ভূঁইয়া, নোয়াখালী প্রতিনিধি: বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেছেন, রাষ্ট্র সকলের, রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর জনগণ মনে করেছিলো তাদের রাষ্ট্রের মালিকানা তারা ফিরে পেয়েছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ আশাটাকে হৃদয়ে ধরে রাখতে পারেনি। আমাদের মধ্যে আজকে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে, যা কেউ বড় করে দেখছে, কেউ ছোট করে দেখছেন।
বুধবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় জেলা শহর মাইজদীর মফিজ প্লাজার সামনে জেলা বিএনপির আয়োজন অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিকাল চারটা থেকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে সড়ক রোড়ে নোয়াখালীর প্রবেশ পথ সোনাইমুড়ী চাষির হাট থেকে শুরু করে, চৌমুহনী জালালুদ্দিন কলেজের সম্মুখসহ বিভিন্ন স্থানে পথ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, তবে আমি মনে করি এ মতপার্থক্য দূর করে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুব একটা কঠিন বিষয় না। তাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো আমাদের সবাইকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে আরও সুসংগঠিত করার জন্য এবং আধিপত্যবাদ থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। তখনই এ রাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষে জনগণের হবে।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে নিজ এলাকায় আসাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীতে বিএনপি আয়োজিত পথসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান আরও বলেন, আপনাদের আবেগ-ভালোবাসাপূর্ণ আজকের এ উপস্থিতির জন্য সদর-সুবর্ণচর উপজেলার নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুখে-দুঃখে তাদের পাশে থাকবেন বলে জানান। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসার প্রতিদান কখনও দেওয়া সম্ভব না। আমি প্রতিজ্ঞা করছি সারাজীবন আপনাদের পাশে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনও ক্ষমতার রাজনীতি করে না। বিএনপি জনগণের সাথে আছে। আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কম রক্ত দেয়নি। এ অভ্যূত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। আমাদের দল শাসক হতে চায় না, সেবক হতে চায়। তাই আমরা চাই সুষ্ঠু একটা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হোক। যে নির্বাচনে ছোট-বড় সকল দল অংশগ্রহণ করবে। এটা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।
এসময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাবেক সভাপতি গোলাম হায়দার ও সাবেক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোককেট বিইউএম কামরুল ইসলাম, এডভোকেট আবদুর রহিম, এড শাহাদাত হোসেন পিপি, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিরুল ইসলাম বুলবুল, গিয়াসউদ্দিন সেলিম, সাবেক শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের, ভিপি জসিম উদ্দিন, হাজী ওমর ফারুক টপি, জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজীম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহম্মেদ, ছাত্র নেতা আজগরউদ্দিন দুখুসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।