আব্দুর রব, বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বারহার গ্রামের দিনমজুর সালাহ উদ্দিন খুনের দুই মাস পরেও হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটন ও প্রকৃত আসামি সনাক্ত করতে পারেননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের সানক্তপূর্বক গ্রেফতারের দাবিতে নিহেতর স্বজনসহ এলাকাবাসী রোববার দুপুরে বড়লেখা পৌরশহরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। পরে তারা থানার ওসির কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
হত্যাকান্ডের শিকার দিনমজুর সালাহ উদ্দিনের ভাগ্নে ইকবাল জাফরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈদ আলী, আব্দুল হালিম, ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মুজিবুর রহমান, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুস সামাদ, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির পলাশ, নিহত সালাহ উদ্দিনের বাবা কমর উদ্দিন, চাচা পারভেজ আসুক, ছোট ভাই আমির উদ্দিন, ভগ্নিপতি হাফিজ বেলাল আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৮ এপ্রিল রাত থেকে ১৯ এপ্রিল বিকেলের যে কোনো সময় নির্মমভাবে সালাহ উদ্দিনকে খুন করে রাতখাল নদীতে ফেলে দেয়া হয়। স্থানীয় জনসাধারণ ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখে স্বজনদের খবর দেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমির উদ্দিন অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রউফ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আফজাল হোসেন ব্যতিত অন্য তিনজনকেই তিনি ছেড়ে দেন। ২৪ এপ্রিল সালাহ উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আফজল হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করে তিনি রিমান্ড প্রার্থনা করেন। নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আফজল হোসেন কুড়িয়ে পেয়েছে দাবি করে সিএনজি চালক মামুন হোসেনকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয় ফোনটি নিহত সালাহ উদ্দিনের। স্বজনদের প্রশ্ন প্রতি রাতে মামুন হোসেন দিনমজুর সালাহ উদ্দিনকে নিয়ে বিয়ানীবাজারে গ্যাস আনতে যেত। ওই দিন কেন সে তাকে নেয়নি। ঘটনার রাতে যে বাড়িতে সালাহ উদ্দিন ভাত খেয়েছে তাকে তদন্ত তর্মকর্তা আইনের আওতায় নেননি কেন। মামুন হোসেনকে থানায় আটক করা হলেও মুচলেকায় কেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হল। নিহতের স্বজনরা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার ব্যাপারে কোনো ধরণের সহযোগিতা না করার অভিযোগ করেন।
বড়লেখা থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান জানান, দিনমজুর সালাহ উদ্দিন হত্যার সুষ্ঠ তদন্ত, ক্লু উদঘাটন ও প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবিতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রোববার দুপুরে থানায় একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করে দেওয়া হতে পারে।