মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর শাখার আইএফআইসি ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী আজ রোববার কর্মস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ব্যাংকের ভেতরে তাঁরা সবাই বমি করছিলেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন এসে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
পুলিশ ধারণা করছে, ব্যাংক লুট করতে অপরাধী চক্র কর্মকর্তা–কর্মচারীদের কোনো কিছু প্রয়োগ করে অচেতন করতে পারেন। এ ঘটনায় টাকা লুটেরও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কুলিয়ারচর বাজারের হাবিব কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় আইএফআইসি ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে। ৩ বছর হয় শাখাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা রয়েছে ৬ জন। আজ বেলা ১ টার দিকে কয়েকজন গ্রাহক ব্যাংকে গিয়ে দেখতে পান প্রধান ফটকের সামনে একজন পড়ে আছেন। ভেতরে অন্যরাও পড়ে ছিলেন। সে সময় তাঁরা সবাই বমি করছিলেন। পরে তাঁদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এসে দেখতে পান ক্যাশ কাউন্টারের সামনের কাঁচ ভাঙ্গা।
৬ জনের মধ্যে শাখা ব্যবস্থাপক সৌমিক জামান খান ও নিরাপত্তাকর্মী কামাল হোসেনকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অন্যদের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তাকর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আদনান আক্তার বলেন, দুইজনের মধ্যে ব্যবস্থাপককে প্রথমে হাসপাতালে আনা হয়। সে সময় তিনি অচেতন ছিলেন। হাসপাতালে আনার পর দুইজন-ই বমি করেন। বিশেষ ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁদের অচেতন করা হয়ে থাকতে পারে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কারা, কেন এবং কীভাবে ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানতে তদন্ত চলছে।