রমজান আলী, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুই উপজেলার সীমান্ত এলাকায় ব্রীজ নির্মানে বাঁধা ও উন্ননকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনসাধারণ। শনিবার (২৪মে) সকালে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউপির দক্ষিণ সোনাকানিয়া জানার পাড়ার অন্তর্গত নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজের পাশে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে সোনাকানিয়া ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো: মহিউদ্দীন, বড়হাতিয়া ইউপির ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক রানা, জানার পাড়া জামায়াতের ইউনিট সভাপতি লেয়াকত আলী, স্থানীয় জামায়াত নেতা মো: সেলিম, শাহাদাত হোসেন, মছনের হাট দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি হাফেজ শাহ আলম, আইনজীবী নেজাম উদ্দিন, জামায়াত নেতা মঈনুদ্দীন, আব্দুল আজিজ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, নানিয়ার ছড়া খালের উপর নির্মানাধীন ব্রীজটি সাতকানিয়ার অংশ এবং স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার ফসল। এই ব্রীজটি ব্যবহারের মাধ্যমে
চলাচলের পাশাপাশি এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কৃষিসহ প্রয়োজনীয় কাজে উপকারভোগ করবে। কিন্তু একটি স্বার্থান্বেষী মহল চায় ব্রীজটি এই স্থানে নির্মান না হয়ে অন্য আরেকটি স্থানে নির্মান হোক যেটি লোহাগাড়া উপজেলার অন্তর্ভূক্ত। এমনকি তারা বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করেছেন যা ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন।
বক্তারা আরো বলেন, একজন স্থানীয় সাংবাদিক চাচ্ছেন ব্রীজটি অন্য আরেকটি জায়গায় নির্মান করা হোক যে জায়গাটি তার নানার বাড়ি এলাকা এবং লোহাগাড়ার আওতাভূক্ত। এছাড়াও ঐ জায়গায় ব্রীজটি নির্মান করতে গেলে আলাদাভাবে সড়ক নির্মান ও কালভার্ট নির্মান করে তারপরে ব্রীজ নির্মান করতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাতকানিয়ার বরাদ্দ কেন লোহাগাড়ায় চলে যাবে? আমরা উক্ত ব্রীজ নির্মানে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ব্রীজটি একটি বাড়ির সামনে হচ্ছে বলে যে অভিযোগ সেটি সত্য নয়। আমি ব্রীজ নির্মানাধীন জায়গায় গিয়েছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ কয়েকশো মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ব্রীজের অপর পাশে মাদ্রাসা, মানুষের বসতবাড়ি ও খেত খামার সহ মানুষের যাতায়াত রয়েছে। এছাড়াও এটি সাতকানিয়ার প্রজেক্ট এবং দূর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত। যদি এই প্রজেক্ট স্থানান্তর কিংবা কাজ বন্ধ করতে চায় তাহলে সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পারবে।