চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজারের পেকুয়ায় লবণ মাঠে তান্ডব চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় তাঁরা প্রায় ৪ একর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে সাবাড় করেছে। শুক্রবার (৯ মে) দিবাগত রাতে কোন এক সময় মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্যা দিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, কোদাইল্যাদিয়া ফরিস্যাঘোনায় শুদ্ধখালী এলাকার লবণ চাষী এনামুল হক ও মকটাভাঙা এলাকার ছৈয়দ আলম প্রায় ৪ একর লবণ মাঠে চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন করে আসছিল। শুক্রবার দিবাগত গভীররাতে একদল দুর্বৃত্ত হানা দেয়। এসময় দুর্বৃত্তরা লবণ উৎপাদন কাজে মাঠে বিছানো পলিথিন কেটে তছনছ করেছে। লবণ মাঠের সঙ্গে এমন শত্রুতায় ক্ষোভ ঝেড়ে স্থানীয় লোকজন বলেন, এমনিতে লবণ চাষীদের দুঃখের শেষ নেই। লবণের ন্যায্য মুল্য নেই। ন্যায্য মুল্য না পেয়ে চাষীরা হতাশ। তার উপর এমন বর্বরতা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন।
এ ব্যাপারে লবণ চাষী এনামুল হক বলেন, আমার সাথে কারো শত্রুতা নেই। কানি প্রতি সত্তর হাজার টাকা দিয়ে লবণ উৎপাদন করছি। আমার সাত কানি লবণ মাঠের সব পলিথিন কেটে দিয়েছে। এখন লবণ উৎপাদনের উপযুক্ত সময়। এমন সময়ে দুর্বৃত্তরা পলিথিন কেটে চরম ক্ষতির সম্মুখীন করেছে।আমার প্রায় দুইলক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ভুক্তভোগী অপর লবণ চাষী ছৈয়দ আলম বলেন, আমার তিন কানি লবণ মাঠ রয়েছে। মটকা ভাঙার এয়ার মুহাম্মদ এর কাছ থেকে লাগিয়ত নিয়ে লবণ উৎপাদন করে আসছি। সকালে মাঠে এসে দেখি কে বা কারা রাতের আঁধারে মাঠে বিছানো সব পলিথিন কেটে তছনছ করেছে। গত দু'সপ্তাহ আগেও পলিথিন চুরি করে নিয়ে গেছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কোদাইল্যা দিয়া এলাকার লোকমান বলেন, এনামুল হক আমার চাষা। ১০ বছর ধরে তিনি লবণ উৎপাদন করে আসছে। প্রতিবেশী শাহেনা বেগম ও নুরুল কাদের এর সঙ্গে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছে। কয়েকটি মামলাও চলমান আছে। সম্প্রতি একটি মামলায় নুরুল কাদের সাথে আমাকেও আসামি করেছে। এনামুল হক আমার চাষা। আমার ধারণা ক্ষোভে শাহেনা বেগম লোকজন দিয়ে পলিথিন কেটে দিয়েছে।
মগনামা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বদিউল আলম বলেন, প্রায় চার একর জমির পলিথিন কেটে দিয়েছে। লবণ চাষীদের ওপর এমন শত্রুতা সত্যি দু:খজনক।