মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী নান্নু শপিং কমপ্লেক্সের “শেফা ফ্যাশন” হাউজ থেকে কামরুল ইসলাম (১৯) নামে এক ভুয়া সেনা সদস্য যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার সুবিদখালী নান্নু শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
“শেফা ফ্যাশন” এর মালিকের ছোট ভাই সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কামরুল ইসলামকে আসামি করে প্রতারণার অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন। আটককৃত ভুয়া সেনা সদস্য কামরুল ইসলাম (১৯) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার ১০নং সোরা গ্রামের মৃত. মুনসুর আলী সানা ও হামিদা বেগম দম্পতির পুত্র।
শেফা ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী সেনাবাহিনীর কর্পোরাল (অবঃ) মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় কামরুল ইসলাম (১৯) সেনাবাহিনীর পোশাকের আদলে একটি টিশার্ট পরিহিত অবস্থায় দোকানে এসে তিনটি প্যান্ট ও টিশার্ট পছন্দ করেন, আমি দোকানের বাহিরে থাকায় দোকান পরিচালনায় থাকা আমার ছোট ভাই সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) মিজানুর রহমান ও বিক্রয় কর্মীরা মূল্য চাওয়ার পর তিনি “মূল্য বেশী” চাওয়ার অজুহাতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য (সৈনিক) পরিচয় দিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু করেন। খবর পেয়ে আমি দোকানে গিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দেয়া কামরুল ইসলামের নিকট তার বর্তমান কর্মস্থল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র জানতে চাওয়াসহ পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি পুনরায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করেন। সে পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় এবং তার আচরণে সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্প ও মির্জাগঞ্জ থানায় খবর দিলে সেনাবাহিনী সদস্যরা ও মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ শামীম হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে কামরুলকে আটক করে। মির্জাগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা কামরুল ইসলামকে তাৎক্ষনিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য নয় এবং প্রতারণার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্য (সৈনিক) পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে কামরুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক কামরুল ইসলামকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।